কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষার প্রসার জরুরি : মসিউর
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষা প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। রোববার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্চিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অর্জনে জনজীবনের দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা গ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ঐতিহাসিকভাবে সাধারণ শিক্ষা গ্রহণের প্রতি আমাদের আগ্রহ বেশি। আবার শিক্ষা জীবনশেষে আমরা সবাই চাকুরী পেতে চাই। এজন্য সহজে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষার প্রসার দরকার। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।’
ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্চিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর ঢাকা জেলা শাখা সেমিনারের আয়োজন করে। সংগঠনের ঢাকা জেলার সভাপতি মো. খবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যন্যোর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ এ্যাডমিন্সিট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হারুণ-অর-রশিদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মসিউর রহমান বলেন, দেশের ধনবানদের মধ্যে দেখা যায় স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠায় খুব উৎসাহ। অথচ কারিগরি বা নার্সিংয়ের মতো শিক্ষায় তারা এগিয়ে আসেন না। এর মূল কারণ হতে পারে কারিগরি শিক্ষায় ব্যয় বেশি। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে কারিগরি শিক্ষা প্রসারে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে।
শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে গুনগত পরিবর্তন আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরো বলেন, কেবলমাত্র সাধারণ শিক্ষা নয়, জীবনমুখী শিক্ষা প্রদানের সময় এসেছে। স্কুলে একজন নারী শিক্ষার্থীকে তার জীবনযাপনের বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। এজন্য সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বেশিসংখ্যক নারী শিক্ষক নিয়োগের প্রতি আগ্রহী।
সেমিনারে অন্য বক্তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো তরান্বিত করতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, শিক্ষার বিনিয়োগে বেশি ফল পাওয়া যায়। এজন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকারকে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
এসএইচএস/আরআইপি