জয়পুরহাটে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা
জয়পুরহাট সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশা করছেন স্থানীয় খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। এ উপলক্ষে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক খাদ্য গুদামটিতে সাধারণ কৃষক ও চাল কল মালিকদের কাছ থেকে সরাসরি চাল ও ধান সংগ্রহ চলছে।
জয়পুরহাট খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৪৬ মেট্রিক টন ও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৪ মেট্রিক টন। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ইতিমধ্যে খাদ্য গুদামটিতে চাল সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন আর ধান সংগ্রহ হয়েছে ২১৩ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট ধান-চাল সংগ্রহ আগামী ৩১ আগষ্টের মধ্যে সম্ভব হবে বলেও খাদ্য গুদামের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষক ও চাল কল মালিকরা এই খাদ্য গুদামে সরাসরি ও নিয়ম অনুযায়ী ধান ও চাল সরবরাহ করছেন বলে তারা খুশি হলেও অবৈধ সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে কিছু সংখ্যক প্রভাবশালীর হাতে স্থানীয় গুদাম কর্তৃপক্ষকে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী, হালট্টি এলাকার মোল্লা চাউল কল মালিক আব্দুল হান্নান, বামনপুর এলাকার মদিনা চাউল কল মালিক মামুনুর রশিদ জানান, তারা সরকারি বিধিমালা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে ও হয়রানি ছাড়াই ধান-চাল সরবরাহ করছেন। তবে ২/১ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এই খাদ্য গুদামে ভাঙা চাল ও নিম্নমানের ধান সরবরাহ করার জন্য গুদাম কর্তৃপক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা ছাড়াও লাঞ্চিত করছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান বাধাগ্রস্থ হতে পারে বলে সরবরাহকারী কৃষক, চালকল মালিক ও গুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জয়পুরহাট খাদ্য গুদামের সংরক্নণ ও চলাচল কর্মকর্তা (এই খাদ্য গুদামের প্রধান কর্মকর্তা) মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই খাদ্য গুদামে চলতি মৌসুমে ধান ও চাল সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৭১ জন কৃষক ও ১০৩ জন চালকল মালিককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে নিয়ম কানুন না মেনে কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী অবৈধ সুবিধা নিতে অযথা হয়রানি করছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সকল বাধা স্বত্ত্বেও সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলেও তিনি আশা করেন।
এসএস/এমএস