কুড়িগ্রামে শিক্ষিকার যৌন হয়রানি অভিযোগের তদন্ত হয়নি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষিকার যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্তে তালবাহানা করছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও)। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করার এক মাস পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কার্যক্রম।
এদিকে অভিযোগ করায় ওই শিক্ষিকাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে না পাওয়ায় তদন্ত করা যাচ্ছে না দাবি তদন্তকারীর।
উপজেলার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের চর রহমানেরকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মিয়ার কুপ্রস্তাবে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন তিনি। নিজের সম্মান বাঁচাতে ওই শিক্ষিকা গত ২৪ মে জেলা শিক্ষা অফিসের আদেশ নিয়ে ডিপুটেশনে অন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে দায়িত্ব পালন করলেও নিজ বিদ্যালয় প্রতিবেদন দেন না প্রধান শিক্ষক। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরসহ প্রতিবেদন নিতে হলে প্রধান শিক্ষক তার প্রস্তাবে রাজি হতে বলেন। পরে শিক্ষিকা গত ১ জুন লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মোকছেদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন শাহ। এদিকে এক মাস অতিবাহিত হলেও তদন্তের সময় পাননি এটিও।
এ বিষয়ে এটিও মোকছেদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে তদন্ত সম্ভব হয়নি। চলতি সপ্তাহে এ তদন্ত কাজ শুরু হবে।
তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে চায়ের দোকানে বেশ কিছু সময় দেখা গেছে এটিও মোকছেদুল ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু বক্করকে খোশ গল্পে মেতে থাকতে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা বিতরণেও শিক্ষকের সঙ্গে ছিলেন এটিও।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন শাহ জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই এটিও মোকছেদুলকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আসার পর তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কেন হয়নি এ বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হবে।
নাজমুল হোসেন/এমজেড/এমএস