রোহিঙ্গাদের ফেরাতে তিন সপ্তাহের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫০ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই গ্রুপ গঠন করা হবে।

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মিয়ানমার সফর শেষে শনিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ওই সফরে মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি ও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার তাদের অর্থ বা ব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসিত করবে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের ব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের ওই দেশে সীমিত সময়ের জন্য রাখা হবে। তিনি বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। একটি যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে। এই প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবে। দুই পক্ষই ইউএনএফপিআরের সহযাগিতা নিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ সময় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা ও বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, এই চুক্তিটি একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। এরপরে আরো কিছু পদক্ষেপ আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চুক্তিতে দুই মাসের কথা বলা হয়েছে। এই দুই মাসের মধ্যেই পুনর্বাসন শুরু হবে বলে আমরা আশা করি। কিন্তু আজকেই যদি বাস্তুচ্যুতরা ফিরে যায় তাহলে তারা কোথায় যাবেন? থাকবেন কোথায়? কারণ তাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাই মিয়ানমার যাওয়ার আগেই আমি ভারত ও চীন সরকারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এই দুই দেশই তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করার জন্য রাজি আছে। এই প্রস্তাবটি মিয়ানমারকে দেয়ার পর তারাও সম্মত হয়েছেন। তারা ভারত ও চীনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

এইচএস/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।