আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ স্বীকৃতি উদযাপনে রাজধানী ঢাকাতে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে এ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়।
শোভাযাত্রার সামনের দিকে রয়েছে একটি হাতি। তার পেছনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা রয়েছেন। শোভাযাত্রার রাস্তার দুই পাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ওভারব্রিজের ওপর কাউকে উঠতে দেয়া হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর থেকে শুরু করে আনন্দ শোভাযাত্রাটি মিরপুর রোডের রাসেল স্কয়ার দিয়ে কলাবাগান হয়ে সায়েন্সল্যাব বামে মোড় নিয়ে বাটা সিগন্যাল-কাঁটাবন ক্রসিং হয়ে শাহবাগ থেকে ডানে মোড় নিয়ে ছবির হাট হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে শেষ হবে।
শোভাযাত্রাটি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সাইন্সল্যাব মোড় দিয়ে কাঁটাবন হয়ে শাহবাগের দিকে যাচ্ছে। রাস্তার অপর দিকের সড়ক শাহবাগ টু সাইন্সল্যাবে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করছে।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ছবির হাট গেট (চারুকলার বিপরীতে), টিএসসি গেট (বাংলা একাডেমির বিপরীতে), কালীমন্দির গেট ও তিন নেতার মাজার গেট ব্যবহার করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবেন।
শোভাযাত্রা শুরুর আগে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম। এরপর অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ফুল দেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভায় বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্যের পর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ভাষণটি বাজানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লেজার শো’র মাধ্যমে শেষ হবে আনন্দ শোভাযাত্রা পরবর্তী সভা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণকে (ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে মহাপরিচালক ইরিনা ভোকোভা এ ঘোষণা দেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওই ভাষণ এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রস্তুতির দিকে ঝুঁকে পড়তেও উৎসাহিত করে। এটি জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল।
এআর/বিএ/এমএস