গাইবান্ধায় যমুনা নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম


প্রকাশিত: ০৭:১৯ এএম, ০৪ জুলাই ২০১৫

সাঘাটায় যমুনা নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত ১৩৫ কোটি টাকায় বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের বালু, পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে সিসি ব্লক নির্মাণেও নিম্নমানের বালু ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া জিও টেক্সটাইল ব্যাগেও মোটা বালুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁদা চিকন বালু।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা বাজার, সাঘাটা থানা ভবন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে যমুনা নদীর ৪.৮ কিলোমিটার এলাকায় সিসি ব্লক, বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ স্থাপন করে সাঘাটা বাজারের উত্তরে মুন্সিরহাট হতে দক্ষিণে চিনিরপটল পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ কাজ চলছে।



তিন পর্যায়ে দরপত্র আহ্বান করে ১৩ জন ঠিকাদার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। ২০১০ সালের জুলাই মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গত ৩০ মে পর্যন্ত ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী সিসি ব্লক তৈরিতে সিমেন্ট, বালু ও পাথর ব্যবহারের অনুপাত হবে ১ঃ৩ঃ৬ (একভাগ সিমেন্ট, তিনভাগ মোটা বালু ও ছয়ভাগ পাথর মিশ্রণ)। ৩৫, ৪০ ও ৪৫ ঘন সেন্টিমিটারের তিন আকারের সিসি ব্লক তৈরি হচ্ছে।



চিনিরপটল গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, জিও ব্যাগ পলি মাটি দিয়ে ভরাট করতে দেখা গেছে। এছাড়াও মোটা বালুর পরিবর্তে কাঁদা মিশ্রিত চিকন বালুও ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়।

স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক প্রকৌশলী জাগো নিউজকে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে কাঁদা মিশ্রিত চিকন বালু ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। তদারককারী প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক নজরদারি করার নির্দেশ দেয়া হয়।

অমিত দাশ/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।