কোকেন আটক : বকুল ও রাজুর খোঁজে গোয়েন্দা পুলিশ
চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখি তেলের সঙ্গে কোকেন আমদানির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বকুল মিঞা ও রাজু নামে দুই ব্যক্তির খোঁজে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় আটক তিনজন পুলিশি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এ দু`জনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। এদের মধ্যে বকুল মিঞা লন্ডনে থেকে কোকেন চট্টগ্রামে পাঠিয়েছিল। আর এ চোরাচালানের অর্থায়ন করেছিল তার পার্টনার রাজু। বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন তিনি।
দু`জনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বকুল মিয়া ও রাজুর পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা খুঁজে বের করতে মাঠে নেমেছে। তাদের ধরতে ইন্টারপোল এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তা চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি) কুসুম দেওয়ান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা লন্ডন ও ভারতে অবস্থানরত দু’জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছি। দেশে অবস্থানরত কয়েকজনের বিষয়েও কিছু তথ্য এসেছে। দেশের বাইরে যারা আছেন তাদের ধরতে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা যেমন ইন্টারপোল ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তা নেওয়া হবে।
হেফাজতে নেয়া তিনজনকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের চার সদস্যের একটি টিম জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে সূত্র জানায়। সূত্র মতে, জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি তথ্য পেয়েছে, বকুল মিয়া লন্ডন থেকে তার নিকটাত্মীয় গোলাম মোস্তফা সোহেল এবং আতিকুর রহমানের মাধ্যমে তা খালাসের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছিল। পরবর্তীতে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন আজাদ এবং মোস্তফা কামালও।
তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (উত্তর) মো.কামরুজ্জামান জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইন্টারপোল এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে সহায়তা চাওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ করতে চান তারা।
এজন্য পুলিশ সদর দফতরে ইন্টারপোল ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া চলছে। আর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। তবে এর আগে পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দফতরকে অবহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, নগর পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তরল কোকেন সন্দেহে গত ৬ জুন রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার বন্দরে সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
২৮ জুন নগরীর বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ এর ১(খ) ধারায় জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও সোহেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় সোহেলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বিএ/এমএস