রোহিঙ্গাদের নির্যাতন মানবতাবিরোধী অপরাধ
বাংলাদেশে সফররত কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ম্যারি ক্লদ বিবেয়্যু বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে- যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের মানবেতর জীবন যাপন সরেজমিনে পরিদর্শন করে মর্মাহত কণ্ঠে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে যেভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে তা নিন্দনীয় ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপির সঙ্গে বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স (সিপিসি), রোহিঙ্গা ইস্যু, টেকসই উন্নয়ন ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ম্যারি ক্লদ বলেন, রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত পাঁচ দফা বাস্তবায়নে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। তিনি আরও বলেন, বঞ্চিত রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে ইতোমধ্যে কানাডা সরকার ২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে- যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
স্পিকার বলেন, রোহিঙ্গারা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসায় তিনি কানাডা সরকারকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে শতকরা ৭ দশমিক ২ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুদের উন্নয়নে সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভূমিকা রাখছেন। যৌতুক, বাল্যবিবাহ, মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হ্রাসে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনেয়ট প্রিফন্টেইন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এমআরএম/আইআই