বরিশালে নদীগর্ভে বিলীন বাড়িসহ ২০ প্রতিষ্ঠান


প্রকাশিত: ০৭:৫১ এএম, ০২ জুলাই ২০১৫

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে সদর উপজেলার চরকাউয়া বাজারের দোকান ও বসতি মিলিয়ে ২০টি ঘর। নদীর তীর জুড়ে বড় বড় ফাটল ধরায় হুমকির মুখে রয়েছে চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং বাসস্ট্যান্ডসহ বাজারের অর্ধশত দোকানঘর। যে যার মতো পারছেন বৃষ্টি উপেক্ষা করে আসবাবপত্রসহ বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার  সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এই ভাঙন শুরু হয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ১ টা) তা অব্যাহত রয়েছে।

সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাকে ভাঙন কবলিত এলাকায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দারা।

চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবি জাগো নিউজকে জানান, সকাল সড়ে ৬টা থেকে পুরানো ফেরিঘাট থেকে ভাঙনের শুরু হয়। অব্যাহত ভাঙনে সকাল থেকে বসত ঘরসহ ২০টি প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে কীর্তনখোলার নদী গর্ভে। এরমধ্যে মুদী, তেলব্যাসায়ী, যন্ত্রাশেংর দোকান ১৭টি এবং ৩টি বসত ঘর রয়েছে। পানির চাপ বাড়ায় স্রোতের কারণে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও ভাঙনের সৃষ্টি হয়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই দেকানিরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে রাজ্জাক মজুমদার, হায়দার মজুমদার, আ. হান্নান মিয়া, মো. সেলিম, মো. রিয়াজ, সুলতন মিয়া, মো. লাবু, ইদ্রিস হোসেন,  মো.রাজীব , মো. কাসেম, মো.সাইফুল, কাওসার মিয়া, মো. নূরুজ্জামান, আইয়ূব আলী, আনোয়ার হোসেন, মো. শাহিন, নূরুল ইসলাম, তৈয়ব আলী, মো. সামেদ ও আ. রশীদ মিয়ার প্রতিষ্ঠান।

ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, তিনি ইতিমধ্যেই চরকাউয়ার ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেয়া ৩টি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সাইফ আমীন/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।