প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুরুত্বপূর্ণ কারণ কোচিং বাণিজ্য : শিক্ষামন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কোচিং বাণিজ্য। কোচিং সেন্টারগুলো থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে কারণে আমরা কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। কিন্তু কোন আইন না থাকায় এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে আমরা সংসদে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে একটি আইন আনতে চলেছি। এটি পাস হলে আশা করি প্রশ্নপত্র ফাঁস অনেকটা রোধ করা সম্ভব হবে।

বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমপি কামাল আহমেদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এদের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষা আইন-১৯৮০ (সংশোধিত-১৯৯২) এর ধারা ৪ অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধীকে ৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে এরূপ কাজের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করছে। এছাড়া যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে অপপ্রচার চালায় তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান। যার মধ্যে রয়েছে প্রশ্নপত্র প্রণেতা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে উপস্থিত থেকে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হবে না এমন অঙ্গীকার নামায় সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সাক্ষর নেয়া হচ্ছে, মডারেশন কক্ষ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে, বিজি প্রেসে মুদ্রণে কর্মরত কর্মীদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে, শিক্ষকদের নৈতিকতা ও সততার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, কোচিং সেন্টারের উপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে, এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা সীমিত রাখা, দূরবর্তী কেন্দ্র বাতিল বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন ঘটনা ঘটলে তাংক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিও লেটার প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এইচএস/ওআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।