লাঞ্ছনা সইতে না পেরে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আসিফ
রাজধানীর বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাসিম আহমেদ এমাজউদ্দিনের হত্যাকারী আসিফ শিকদারকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ পুলিশকে জানিয়েছেন আগের দিন (৫ নভেম্বর) কয়েকজন সঙ্গীসহ তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে নাসিম। এর প্রতিশোধ নিতেই পরদিন তাকে হত্যা করা হয়।
বুধবার গুলশানের ডিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ।
আসিফকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মোস্তাক আহমেদ বলেন, ৫ নভেম্বর কোনো একটি কারণে আসিফ ও নাসিমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় নাসিম তার তিন বন্ধুকে নিয়ে আসিফকে মারধর করে। আহত অবস্থায় বাসায় গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে আসিফ। সারারাত ঘুমাতে পারেনি সে। ভোরে বাড়ির ফল কাটার ছুরি নিয়ে নাসিমকে হত্যার জন্য বের হয় সে। অবস্থান নেয় বাড্ডা থানাধীন পোস্ট অফিসের গলিতে। এ সময় নাসিম হেটে আসলে সে প্রথমে তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। প্রথম আঘাতের পর নাসিম আসিফকে জড়িয়ে ধরে। তখনই নাসিমের পিঠে আরেকটি ছুরির পোঁচ দেয় আসিফ।
তিনি আরও বলেন, নাসিমকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে প্রথমে বাড্ডা থেকে গুদারাঘাটের দিকে পালিয়ে আসে সে। ফোন করে বাবাকে জানায় নাসিমকে ছুরি মারার কথা। পরে কুমিল্লায় মায়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে সে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফ্রাইঞ্চাইজ ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা কি না জানতে চাইলে ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘বাকবিতণ্ডার কারণ এখনো সুনির্দিষ্ট নয়। এ বিষয়ে পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, নাসিমের পরিবারের দায়ের করা হত্যা মামলায় আসিফকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। রিমান্ডে এনে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিপিএলকে ঘিরে পাড়া-মহল্লা ও গলির দোকানে জুয়া খেলার বিরুদ্ধে পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে।
এআর/এমএমজেড/আরআইপি