বিদ্যুৎ চুরির শাস্তি ৫ বছর জেল রেখে সংসদে বিল উত্থাপিত
বাসা বাড়ির জন্য বিদ্যুৎ চুরি করলে ৩ বছর এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ চুরি করলে ৫ বছরের শাস্তির বিধান রেখে বিদ্যুৎ আইন ২০১৭ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি উত্থাপন করেন। পরে বিলটি আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি উত্থাপনের আগে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমাম বিলটির কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বিলটিকে কালো আইন হিসেবে অবহিত করেন। তিনি বলেন, বিলে দেশের মালিক জনগণকে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে কারদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
কিন্তু একই ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের জন্য শুধু অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এটা আইনের চোখে বৈষম্যমূলক। এছাড়া বিলে অননুমোদিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের তল্লাশি চালাতে সহকারী প্রকৌশলীকে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ ও তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা প্রদানকে তিনি কালাকানুন হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিলের উদ্দেশ্যে ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন এবং মানসম্মত বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার জন্য দ্য ইলেক্ট্রিসিটি অ্যাক্ট ১৯১০ রহিত করে, তা সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে নতুন আইন আকারেও বাংলা ভাষায় বিদ্যুৎ আইন ২০১৭ শীর্ষক বিলটি প্রণীত হয়েছে।
বিলের অপরাধ ও দণ্ড অধ্যায়ে বলা হয়েছে, কোনো বাসা বাড়িতে বা অন্য কোন স্থানে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ চুরি করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দণ্ডিত হবেন। এছাড়া কোনো শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ চুরি করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বিধান রাখা হয়েছে।
সংসদে সেনানিবাস আইন ২০১৭ উত্থাপিত
সংসদকার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার সংসদে সেনানিবাস আইন ২০১৭ বিলটি উত্থাপন করেন। সেনানিবাসসমূহের প্রশাসন সম্পর্কিত আইন সংশোধন করে নতুনভাবে আইনটি পুন:প্রণয়ন করা হয়েছে। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এইচএস/এমআরএম/আরআইপি