জামায়াতের ‘চিহ্নিতদের’ নির্বাচনে গ্রহণ করা হবে না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ‘চিহ্নিত নেতাদের’ গ্রহণ করা হবে না। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দণ্ড হওয়ার পর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। এ কারণে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জামায়াত নেতারা। সর্বশেষ জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র কিংবা ২০ দলীয় জোটের প্রধান বিএনপির হয়ে কোনো কোনো আসনে নির্বাচন করতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে তিনি একথা বলেন।

হাইকোর্টের আদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের অনেকের বিচার হয়েছে। তো তাদের যদি কোনো সংসদ সদস্য বা কোনো নেতা অন্য কোনো দলে বা স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে আসে সেটা গ্রহণ করবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আমি কেমন করে বলবো। তবে জামায়াতে ইসলামীর চিহ্নিত যারা আছে তাদেরকে আমরা নির্বাচনে গ্রহণ করবো না।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র হিসেবেও যদি জামায়াতের কেউ নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে নির্বাচন কমিশনের মিটিংয়ে তাদেরকে ইন্ডিভিজুয়ালি তাদের বিষয়টা বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবো। একজন একটা ধোঁয়া তুলে দিলো এটা জামায়াতের লোক, তাহলে সেটার বিষয়ে আমি কেমন করে বলব। কোনো অভিযোগ পেলে সেটি কমিশন আগে পর্যালোচনা করে দেখবে। জামায়াতের সবাইতো চিহ্নিত না। যারা চিহ্নিত তাদেরকে অবশ্যই নির্বাচনে গ্রহণ করা হবে না যোগ করেন তিনি।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচন সস্পর্কে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য হাই প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে স্বয়ং নির্বাচন কমিশনাররাই নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করবেন। এমনকি জনসভাগুলোতেও উপস্থিত থাকবেন তারা।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম, প্রার্থীদের জনসভাসহ অন্যসব প্রচারণা ও কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কিংবা কেউ ইচ্ছাকৃত আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। আমরা চার নির্বাচন কমিশনার ভোটগ্রহণের তিনদিন আগে এ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করবো। প্রত্যেকেই প্রার্থীদের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেবেন। এক্ষেত্রে আমরা অনেক কঠোর অবস্থানে রয়েছি।

প্রসঙ্গত, রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২২ নভেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন ২৫ ও ২৬ নভেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ২৭-২৯ নভেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা ৪ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন।

এইচএস/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।