ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার শুরুর পর মুলতবি


প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ৩০ জুন ২০১৫

ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ৩ মাস ৫দিন পর আবারো শুরু হয়েছে ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারিক কার্যক্রম।  তবে কয়েক ঘণ্টা চলার পর পুনরায় মুলতবি ঘোষণা করা হয় আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিএসএফ’র বিশেষ আদালতের সোনারী ছাউনীতে বিএসএফ’র আধিকারীক সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেল বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল জাকির হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কুচবিহারের ৪২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট ফেলানী হত্যা মামলাটির পুনর্বিচার শুরুর বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করেছেন।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানিয়েছেন, ভারতীয় সাংবাদিকদের সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, বুধবার আবার আদালত বসতে পারে।  এর আগে ৪ মাস মুলতবি থাকার পর গত ২৫ মার্চ পুনর্বিচার কাজ শুরু হলেও বিএসএফ’র সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অসুস্থ থাকায় ৩০ জুন পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে ফেরার সময় ভারতের চৌধুরীহাট বিএসএফ ক্যাম্পের অমিয় ঘোষ ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনার দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট কোচবিহার জেলার সোনারী এলাকায় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়।  ওই বিচারে বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়।  এই রায় প্রত্যাখ্যান করে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনারের কাছে আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।  বাবা নুরুল ইসলাম গত বছরের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় বারের মতো সাক্ষ্য দেন ভারতের ওই বিশেষ আদালতে।

কয়েকদিন আদালত চলার পর গত ২০ নভেম্বর আদালত মুলতবি হয়ে যায়।  ২৫ মার্চ পূণরায় বিচার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত।  পরে ৩০ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি হয় আদালত।

এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।