কারাভোগ শেষে ফেরার পথে বাংলাদেশে ১০ জন আটক
ভারতের বিভিন্ন কারাগারে কারাভোগ শেষে ফেরত পাঠানো ১০ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। দেশে ফেরার পথে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়। এরা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নাগরিক।
আটকরা হলেন, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বাকরা গ্রামের ইসহাক মোল্লার ছেলে ইউসুফ আলী (২৫), দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের লক্ষণ রায়ের ছেলে দিলিপ রায় (২০), জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের হজরত আলী মন্ডলের ছেলে বজলু মন্ডল (২৬), পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে আবুল হোসেন (২৭), ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সালডাঙা গ্রামের বুদু হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), একই উপজেলার তারানিবাড়ি গ্রামের হারুন-অর-রশিদের ছেলে আশরাফুল হক (২৭), মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার সুতখিরা গ্রামের দুখু মিয়ার ছেলে আলতাফ হোসেন (২৬), একই গ্রামের মমিন আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (২৬), বাগেরহাটের রাখেন্দাবাজার উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের মৃত নওশের মোল্লার ছেলে তুষার মোল্লা ওরফে মিলন (২৬) এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজীদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় এলাকার নূর বাসারের ছেলে মোহাম্মদ নূর (৩১)।
বিজিবি রাজশাহী ৩৭ ব্যাটালিয়নের গোদাগাড়ীর সাহেবনগর সীমান্ত ফাঁড়ির নায়েক রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, আটকরা বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে অবৈধপথে ভারতে গিয়ে ওই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। এরপর তারা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে কারাভোগ করেন।
সেখানে তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হলে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চর আষাড়িয়াদহ সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ৪ বিএসএফ এর চর লবণগোলা ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের কাঁটাতারের বেড়া পার করে পানিতে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে বিজিবির একটি টহলদল তাদেরকে আটক করে।
বিজিবি সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী আটকদের মঙ্গলবার দুপুরে গোদাগাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এরপর থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি রাজশাহী ৩৭ ব্যাটালিয়নের অপস অফিসার মেজর এসএইচ কামরুল হাসান।
গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ফরহাদ জাগো নিউজকে জানান, আটকদের থানায় সোপর্দ করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শাহরিয়ার অনতু/এমএএস/আরআই