বাংলাদেশের ভালোবাসায় মুগ্ধ বিদেশি এমপিরা
কমনওয়েলথভুক্ত এমপিদের বৃহৎ সংগঠন সিপিএ’র সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ডেলিগেটরা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াকে মানবাধিকারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলেও অভিহিত করেছেন তারা। বাংলাদেশের মতো অতিথি পরায়ন দেশ এর আগে দেখেননি বলেও তাদের অনেকে দাবি করেন।
ঢাকার সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫২ দেশ ও ১৮০টি সিপিএ ব্রাঞ্চের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য ও অন্যান্য প্রতিনিধিসহ প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি ব্যস্ততম সময় পার করছেন। একটি কর্মশালা শেষ হতে না হতেই অন্য কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া মঙ্গলবার সম্মেলনের শেষ দিন হওয়ায় সিপিএ’র সাধারণ সভাও ছিল। এরই ফাঁকে বেশ কয়েকজন ডেলিগেটের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের।
ব্রিটেন প্রতিনিধি দলের প্রধান ও হাউস অব লডসের সদস্য জর্জ ফোকেজ বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমরা পশ্চিমারা শরনার্থীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিই। অথচ বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ রোহিঙ্গাদের বুকে টেনে নিয়েছে। তাদের আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্য সেবাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করছে। এ জন্য অনেক অর্থও খরচ করতে হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগন অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।’
কানাডার সিনেটর সালমা আতাউল্লাজান বলেন, ‘বাংলাদেশকে আগে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবেই জানতাম। কিন্তু এদেশের মানুষের প্রাণশক্তি অফুরান। আপনারা সাহসী জাতি। আপনাদের অতিথি পরায়ণ হৃদয় আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
সেন্ট হেলেনা দ্বীপপুঞ্জের ডেরেক থমাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘আামি এর আগে শুধু বাংলাদেশের নাম শুনেছি। কিন্তু তেমন কোনো ধারণা ছিল না। তবে এদেশে এসে খুব ভালো লাগছে। এখানকার মানুষগুলো খুব মিশুক। এ ছাড়া আপনাদের আতিথেয়তা অসাধারণ।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মালামা প্রদেশের এমপি পিড্ডি মা মাকুলা বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রসংশা করে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসি। এখানকার মানুষগুলো খুব সহজ সরল। কাদামাটির মতো তাদের মন। যতদূর জেনেছি তাদের মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে হয়েছে। যা সত্যিই প্রসংশার দাবিদার।’
মালয়েশিয়ার এমপি ও কমনওয়েলথ উইমেন পার্লামেন্টারিয়ানের চেয়ারপার্সন ড. ডাটো নোরানী আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের আতিথেয়তা আমি মুগ্ধ। বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
গায়ানার ড.বার্টন ড্রেক এমপি বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তা বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জও। তাই অবিলম্বে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ক্যামেরন সংসদের মাইনরিটি চিফ হুইপ বানাদজেম জোসেফ বলেন, ‘এদেশে এসে বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে গেছে।’
দক্ষিণ আফিকার প্রাদেশিক পরিষদের হুইপ ফিলেমন ফালাগা বলেন, ‘উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। নারী নেতৃত্বের রোল মডেল বাংলাদেশ। সিপিএ সম্মেলন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করায় এদেশের মানুষ ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
১ নভেম্বর ঢাকায় শুরু হয়েছে সিপিএ’র ৬৩তম সম্মেলন। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক সব কাজ শেষ হচ্ছে।
এইচএস/এনএফ/পিআর