রমজান মাসে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়িয়েছে ভারত
ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ১৭৫ মার্কিন ডলার বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় রমজানের এ সময়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। শুক্রবার ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (ন্যাফেড) প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ১৭৫ মার্কিন ডলার বাড়িয়ে ৪৩০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশে রমজানে যখন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে তখন ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়বে বলে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা।
যশোরের আমদানিকারক আহমেদ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক তুহিন সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ২৫৫ ডলার মূল্যে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের বন্দরেই প্রতি কেজির দাম প্রকারভেদে ২২/২৫ টাকা পড়েছিল। নতুন করে ৪৩০ ডলার মূল্যে আমদানি করলে কেজি প্রতি দাম পড়বে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম এমনিতেই অস্থিতিশীল। এখন দেশি পেঁয়াজের বাজার আবারো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খুলনার পেঁয়াজ আমদানিকারক মিল্টন সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ভারত সরকার দ্বিতীয় দফা দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের আমদানি ব্যয় আরো বেড়ে যাবে, যার প্রভাব দেশের পেঁয়াজ বাজারে গিয়ে পড়বে। রমজান শুরুর আগে গত মাসের শেষ দিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়ে যায়।
ভারতের রফতানিকারকরা বলছেন, তাদের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা ঠেকাতে রফতানি মূল্য বাড়ানো হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জাগো নিউজকে জানান, গত মাস থেকে ভারতে পেঁয়াজের সঙ্কট চলছিল। দক্ষিণ ভারতের নতুন পেঁয়াজের আগমনও পেঁয়াজের মূল্য কমাতে পারেনি। ফলে রফতানি নিরুৎসাহিত করে ভারতের স্থানীয় বাজার ঠিক রাখতেই সরকারের পরামর্শে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ন্যাফেড।
নতুন মূল্যে পেঁয়াজ রফতানির নির্দেশনা দিয়ে একটি ফ্যাক্স বার্তা রোববারই কোলকাতা থেকে পেট্রাপোল এলসি স্টেশনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কার্ত্তিক চক্রবর্তী।
মো. জামাল হোসেন/এমএস