নোংরা খাবার : মুসলিম সুইটসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা


প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ২৮ জুন ২০১৫

নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, সংরক্ষণ এবং অবৈধভাবে বিএসটিআই’র মানচিহ্ন ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করায় মুসলিম সুইটসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
 
রোববার সকাল সড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর আরামবাগ, ইসলামপুর, পাটুয়াটুলিসহ বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।
 
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকল্পে ভেজাল খাদ্য বিরোধী এ অভিযানের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ শাস্তি ও জরিমানা করা হয়।
 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসটিআই এর পরিচালক কমল প্রসাদ দাস। তিনি জানান, বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫, দি বাংলাদেশ পিউর ফুড (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০০৫ এর ক্ষমতাবলে বিএসটিআই, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এর উদ্যেগে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
 
অভিযানে আরামবাগে ড্রিংকিং ওয়াটার, দই, সস বিএসটিআই’র সিএম লাইসেন্স গ্রহণ না করে অবৈধভাবে বিএসটিআই’র মানচিহ্ন ব্যবহার করে পণ্য বিক্রয় করায় এবং অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বাসি ও পঁচা খাবার সংরক্ষণ করায় স্মার্ট ঘরোয়া রেস্তোরাঁ অ্যান্ড হোটেল লি. কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
 
অন্যদিকে ইফতারি খাদ্য পণ্য অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বাসি ও পঁচা খাবার সংরক্ষণ করায় ২/এ, কমলাপুরে লোটাস রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
 
একই দিনে কমলাপুরের মিষ্টি দই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লাবণী সুইটমিট অ্যান্ড কনফেকশনারিকে বিএসটিআই’র সিএম লাইসেন্স গ্রহণ না করে অবৈধভাবে বিএসটিআই’র মানচিহ্ন ব্যবহার করে পণ্য বিক্রয় করায় জরিমানা ও ৩০ কেজি দই ধ্বংস করা হয়।

অন্যদিকে ইসলামপুর রোডস্থ বাবুল প্যাকিং ফ্যাক্টরিতে পলিস্টার ব্লেন্ড শাটিং বিএসটিআই’র সিএম লাইসেন্স গ্রহণ না করে অবৈধভাবে পণ্য বিক্রয় করায় ১ লাখ টাকা ও জামাল প্যাকিং ফ্যাক্টরিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
 
অন্যদিকে পাটুয়াটুলি রোডস্থ লাক্সারি ঘি হাউজ, মুসলিম সুইটস একই অভিযোগে ১০ হাজার, মোয়াজ্জেম ঘি হাউজকে ২০ হাজার ও আল রাজ্জাক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জেইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।