খাল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে : সাঈদ খোকন
খাল দখলের কারণে রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, দক্ষিণ সিটির খাল দখলমুক্তের অভিযান আজ থেকে শুরু হয়েছে। খাল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর চাঁনখারপুল মোড়ে ১২তলা ভিত্তিপ্রস্তর বিশিষ্ট ‘চাঁনখারপুল মার্কেটের’ এবং ‘নাজিমুদ্দিন রোডের উন্নয়ন, পাইপ ড্রেন নির্মাণ ও নর্দমা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন’ এবং ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আজ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন, ডিএসসিসি এবং ঢাকা ওয়াসা যৌথ উদ্যোগে খাল দখলমুক্ত অভিযান শুরু করেছে। খাল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ কাজে এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, আইনি জটিলতা বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই এমন সব অবৈধ দখলমুক্ত খাল উদ্ধারে কার্যক্রম চালানো হবে।
পরে জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীর প্রশ্নোত্তরে বকশীবাজার থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত স্যুয়ারেজ লাইনের ময়লা আগামীকাল থেকেই জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন দিয়ে পরিস্কারের জন্য সংস্থার পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীদের নির্দেশ দেন। বকশীবাজার এলাকায় সুপেয় পানির সমস্যা দূরীকরণে এক মাসের মধ্যে পানির পাম্প বসানো হবে মর্মে স্থানীয় ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেন।
পরে মেয়র চাঁনখারপুল মোড় হতে জেলখানা হয়ে ৩৩নং সোয়ারিঘাট পর্যন্ত ‘নাজিমউদ্দিন রোডের উন্নয়ন, পাইপ ড্রেন নির্মাণ ও নর্দমা উন্নয়ন কাজ’ এবং চাঁনখারপুল মার্কেটের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।
প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের আওতায় ১২৩০ মিটার রাস্তার দুই পার্শ্বে ১০৫০ মিমি, ৯০০ মিমি ৭৫০ মিমি পাইপ দিয়ে খোলা নর্দমা পুনঃনির্মাণ, খোয়া, মেকাডাম, লেভেলিং ও কার্পেটেং করা হবে। ফলে হোসনি দালান, নবাববাগিচা, নাজিমউদ্দিন রোডে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন সম্ভব হবে। এ কাজ চলতি আসছে ডিসেম্বরের নাগাদ শেষ হবে।
২০ বছর পূর্বে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক স্থাপিত স্বল্প ডায়ার অকেজো পাইপ লাইনের কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতা হতো। তা দূরীকরণের লক্ষ্যেই এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ৩৯ কাঠা জমির ওপর প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ১২তলা ভিত্তিপ্রস্তর বিশিষ্ট চাঁনখারপুল মার্কেটটিতে ২৮৮টি দোকান, ফুড কোর্ট, ডক্টরস চেম্বার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গাড়ি পার্কিং, লিফট, স্কেলেটর, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, জেনারেটর, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ২০১৯ সালের শেষে কাজ শেষ হবে।
২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বীন আজীজ তামিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, তিতাস গ্যাস, ডিএমপি, ওয়াসার কর্মকর্তারা পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এএইচ/আইআই