৯২ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্রই বর্তমান সরকারের অবদান


প্রকাশিত: ০৬:৫৮ এএম, ২৮ জুন ২০১৫

দেশে বিগত ১২ বছরে যত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে তার ৯২ শতাংশই বর্তমান সরকারের অবদান। রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে পিনু খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিগত ১২ বছরে মোট নতুন ৮১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৬ হাজার ৮৬৫ মেগাওয়াট। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৭৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন মোট ৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সে হিসেবে বাকি ৭৫টি কেন্দ্রই স্থাপিত হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে।

মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, বিগত ১২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে যে ৮১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে তার মধ্যে ২০০৪ সালে ৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে ২১০ মেগাওয়াট, ২০০৫ সালে ২৮ মার্চ টঙ্গীতে ১০৫ মেগাওয়াট, ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারী বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ২৫০ মেগাওয়াট, একই বছর ১৬ ডিসেম্বর সামিট পাওয়ার (আরইবি) ১০৫ মেগাওয়াট এবং ওই বছর জুন মাসে আরপিসিএল ২১০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ৭০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যায়।

এছাড়া ২০০৮ সালে ১৬৪ মেগাওয়াটের ৫টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ৩৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ২০১০ সালে ৭৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২০১১ সালে এক হাজার ৭৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২০১২ সালে ৯৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২০১৩ সালে ৬৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২০১৪ সালে ৬৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২০১৫ সালে ৮১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

সেলিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষে এই পর্যন্ত ভাড়ায় নির্মিত ৩১টি কেন্দ্র বিদ্যমান এবং কেন্দ্রগুলোর বিপরীতে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দুই হাজার ১৩৭ মেগাওয়াট।

তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৭৪৮ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১৪টি রেন্টাল এবং এক হাজার ৩৮৮ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১৭টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।

মো. আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানী তেল বিক্রয়ে বর্তমানে সরকার কোন ভর্তুকী প্রদান করছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এক মাত্র কয়লা খনি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। উক্ত কয়লা খনিটি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কো. লি. এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মোট আয় হয়েছে ৮২৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। একই বছরে এই প্রতিষ্ঠানটি লাভ করেছে ৩৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এইচএস/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।