শাহজালালে পৌনে ২ কোটি টাকার স্বর্ণসহ যাত্রী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ৩১টি স্বর্ণবারসহ রিয়াদ ফেরত এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় আটক করা ওই যাত্রীর নাম সিদ্দিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের বাসিন্দা সিদ্দিকের পাসপোর্ট নম্বর বিএম০৫১৪৪০৩।

শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বলেন, সিদ্দিক কালো রঙের পার্সের ভেতরে লুক্কায়িত অবস্থায় ১০ তোলার ২৮টি এবং ৫ তোলার ৩টিসহ মোট ৩১টি স্বর্ণবারে (প্রায় ৩ কেজি ৪৩০ গ্রাম) বহন করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোর্ডিং ব্রিজ থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করে। পরবর্তীতে তার সঙ্গে থাকা কালো পার্টস ব‍‍্যাগটি স্ক‍‍্যান করে স্বর্ণের বারের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া যায়। পরবর্তীতে কাস্টমস হলে এনে তার পার্টস ব‍‍্যাগটি খুলে স্বর্ণের বারগুলো বের করা হয় ও তার প‍‍্যাকেট থেকে ৫টি চেইন ও ১টি আংটিসহ ৩১টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিক জানায়, বিমানের এক ব্যক্তি এয়ারপোর্টে বোর্ডিং ব্রিজের ভেতর তাকে ফোন করে বারগুলো নিয়ে নিত। হাসান নামে এক ব্যক্তি রিয়াদ থেকে বারগুলো দিয়েছে বিমানের জনৈক ব্যক্তিকে দেয়ার জন্য। বারগুলো দিতে পারলে তিনি কিছু টাকা পেতেন। তবে কত পেতেন তা বলতে পারেননি।

হাসানের বাড়ি একই জেলার বাঞ্চহারামপুরের মরিচায়। হাসান রিয়াদে ব্যবসা করে এবং বিভিন্ন জনের কাছে স্বর্ণের বার দেয় দেশে নিয়ে আসার জন্য। টাকার লোভে তিনি এ কাজ করেছেন বলে জানান।

জানা গেছে, আটক সিদ্দিক রিয়াদের মাজরায় ফলের বাগানে দীর্ঘ ১৬ বছর চাকরি করেছেন। এ বছরে তিনি দুইবার আসা যাওয়া করেছেন। তার কাছে আরও ১৫টি ডাইক্লোরোফেনাক আম্পুল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অন্য দুটি ব্যাগ এবং বুকিং দুটি ব্যাগ তল্লাশি করা হয় যাতে জামা কাপড় ছিল।

বার ও অলঙ্কারের মূল্য ১ কোটি ৭২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। জব্দকৃত বার এবং স্বর্ণালঙ্কারগুলো ঢাকা কাস্টমস হাউজের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হবে এবং আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

জেইউ/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।