হবিগঞ্জে খুনের মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে কুটিজান বিবি নামের এক নারী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীনের আদালত এ রায় দেন।
এ মামলায় আরও ১৪ জনকে অর্থদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হচ্ছেন, সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের আওড়া গ্রামের মোতাব্বির, সুলতান, আলী হায়দার ও গফুর। মামলার সাক্ষীগণকে মারপিট করে জখম করার অভিযোগে আসামি ফরিদ মিয়া, সোহাগ মিয়া, মালেক, দুলাল, ফুল মিয়া, কাইয়ুম ও রমিজ মিয়াকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ তাদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া আসামি সিতার, শহীদ, ওয়াহিদ, আহাদ, শফিক, তৈয়ব আলী ও নায়েব আলীকে ১ বছর কারাদণ্ড ও তাদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাস কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৫ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার আওড়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের হিসেবে ফুল মিয়ার বাড়িতে ২০১২ সালের ২ আগস্ট রাত ২টায় একদল লোক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এসময় ফুল মিয়ার মা কুটিজান বিবিসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত কুটিজান বিবিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ আগস্ট তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে ফুল মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ৬৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
এক পর্যায়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার শেষ না হওয়ায় তা পুনরায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ২১ জন সাক্ষীর জবানবন্দী ও জেরা পর্যালোচনার পর বিচারক বুধবার উল্লেখিত রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমজেড/আরআই