সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৭

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিকল্প যানবাহনের টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, সময়ের চেয়ে জীবন মূল্যবান। সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মূল্যবান জীবন ঝরে যাক তা কেউ চায় না। তাই সড়ককে নিরাপদ ও আরামদায়ক করার পাশাপাশি বিকল্প যানবাহনের টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

রোববার জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সাবধানে চালাব গাড়ি, নিরাপদে ফিরব বাড়ি’।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে আবদুল হামিদ বলেন, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত পরিবহর সেবা টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। বর্তমানে সড়কপথে মোটরযানের সংখ্যা, যাত্রী এবং যানবাহনের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বলতে গেলে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন কেউ না কেউ অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন সড়কে, মহাসড়কে। সরকার সড়ককে নিরাপদ করতে একমুখী চলাচল, জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ, সড়ক ডিভাইডার নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁককে সরলীকরণ, সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড, চালকদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আবদুল হামিদ বলেন, এ সত্ত্বেও মহাসড়কে গাড়ি চালকদের প্রতিযোগিতা, অদক্ষতা, ওভারলোডিং, চালকের পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও প্রশিক্ষণের অভাব, পথচারীদের ট্রাফিক আইন না মানা, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ও সামাজিক অসচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক যাত্রীর জীবন কেড়ে নিচ্ছে।

তিনি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি গাড়িচালক, মালিক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন, পথচারী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং গাড়ি চালক-মালিক-যাত্রী-পথচারী-শ্রমিক-কর্মচারীসহ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

এফএইচএস/এমআরএম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।