পদ্মার ওপারেই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’

রফিক মজুমদার
রফিক মজুমদার রফিক মজুমদার , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৭

পদ্মার ওপারেই নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২০১৯ সালের শুরুতেই মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হবে। বর্তমানে চলছে প্রকল্পের সব ধরনের সম্ভাব্যতা নিরূপণ ও সমীক্ষার কাজ।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এই প্রকল্পটি মাদারীপুরের শিবচরের চরজানাজাতে স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। পদ্মার ওপারে প্রায় ৮০ হাজার একর জমিতে সমীক্ষা চালিয়ে চরজানাজাতের মাটিকে সর্বাধিক উপযোগী হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে ওই স্থানে নানা সমীক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জাপানি পরামর্শক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞ দলটিতে রয়েছেন বিশ্বের অত্যাধুনিক সব বিমানবন্দর নির্মাণের কারিগর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবে এ সরকারের আমলেই বিমানবন্দরটি নির্মাণকাজের প্রাথমিক সব প্রস্তুতি শেষের পথে।

সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ও আলোচিত সবকটি বিমানবন্দরের চেয়ে তুলনামূলক এগিয়ে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রায় আট হাজার একর জমির প্রয়োজন অত্যাধুনিক এ বিমানবন্দরটি নির্মাণ করতে।

তিনি জানান, ১২০ কোটি টাকার সমীক্ষায় কাজ করছেন নিপ্পনের দু’ডজন বিশেষজ্ঞ। এদের মধ্যে রয়েছে আইকাও মনোনীত এভিয়েশন ও রানওয়েবিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদ, অর্থনীতিবিদ, ভূতত্ত্ববিদ, নদী গবেষক, এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট, রাডার প্রকৌশলী ও স্থাপত্যবিদসহ ১৯ ক্যাটাগরির বিশেষজ্ঞ।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর ব্যবহার করে প্রতি বছর কমপক্ষে এক কোটি ২৫ লাখ যাত্রী চলাচল করবে। গড়ে প্রতিদিন ৪০০ যাত্রীবাহী ফ্লাইট ও ২০০ কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হবে এ বিমানবন্দর দিয়ে।

জমি চূড়ান্ত করার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যেই ড্রয়িং-ডিজাইন তৈরি করার কথা রয়েছে।

আরএম/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।