বালির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে একটি শহর (দেখুন ছবিতে)


প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ১৯ জুন ২০১৫

কলম্যানস্কুপ নামে নামিবিয়ায় একটি শহর রয়েছে। তবে শহরটিতে এখন কেউ বসবাস করে না, পরিত্যক্ত। শহরটি লোকমুখে পরিচিতি পেয়েছে ভূতের শহর নামে। ৫০ বছর আগেও এ শহরে জনবসতি ছিল। ছিল কোলাহল। হীরার খনিজীবীরা এ শহর গড়ে তুলে ছিলেন। তাদের ধারণা ছিল আশেপাশেই রয়েছে হীরার খনি।



প্রায় ৭০০ পরিবারের বসবাস ছিল শহরে। কিন্তু সেভাবে কিছুই না মেলায় হতাশ হয়ে কলম্যানস্কোপ শহর ছাড়েন খনিজীবীরা। তারপর থেকেই পুরো সুনশান। পড়ে থাকে শুধু ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ভগ্ন বাজার-দোকান।



বছর ৫০ বছর পর এ শহর এখন বিশ্বের অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের সেরা আকর্ষণ। তবে আফ্রিকার দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তের নামিবিয়ার এই ভূতড়ে শহর ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে বালির তলায়। ঝড়ে শহরের বেশ কয়েকটি বাড়ির প্রায় অর্ধেক চলে গেছে বালির নিচের।



আসলে শোনা গিয়েছিল ১৯০০ সালে নাকি এই শহরের বালির তলা থেকে পাওয়া যায় এক বহুমূল্য দুর্লভ হীরা। তারপরই একদল লোক এসে বসবাস শুরু করে কলম্যানস্কোপে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে কলম্যানস্কুপের বালির তলায় নাকি আছে একটা হীরার খনি।



গুজব ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুতের গতিতে। একের পর এক পরিবারে হীরার মোহে ভিড় জমান, বসবাস শুরু করেন এই শহরে। বালির ওপর গড়ে ওঠে অত্যাধুনিক এক শহর।



তবে ৫০ বছর পর মোহ ভাঙে। হীরার খনি আরো দক্ষিণে সরে গেছে বলে পাততাড়ি গুটিয়ে পালায় সবাই। এখন এই শহরে হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটক ছাড়া আর প্রাণের অস্তিত্ব নেই।



বালির ঝড়ে শোঁ শোঁ আওয়াজ ভূতের শহরকে আরও ভৌতিক করে তোলে। এমন কথায় জানালেন এক পর্যটক।







বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।