স্বাস্থ্য সেক্টরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের হিড়িক!


প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ১৭ জুন ২০১৫

স্বাস্থ্য সেক্টরে বিদেশ ভ্রমণের হিড়িক চলছে। চলতি অর্থবছরের (জুন) শেষ সময়ে মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আসা যাওয়ার মাঝেই রয়েছেন। কেউ কেউ আবার মাস শেষ হওয়ার আগেই বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা সংগ্রহসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বেশ কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তিনি এখনও সেখানেই অবস্থান করছেন। সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম দুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। অতিরিক্ত সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) আইয়ুবুর রহমানও কয়েকদিন আগে ৫ সদস্যের টিম নিয়ে মালয়েশিয়া ঘুরে এসেছেন।

অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) রোকসানা কাদেরও দেশের বাইরে। আজ (বুধবার) রাতে কোরিয়া যাচ্ছেন যুগ্মসচিব (মানব সম্পদ উন্নয়ন) সাজেদুল ইসলাম ও যুগ্ম সচিব (অডিট) গৌতম আইচ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নুরুল হকের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি টিম রাতে (বুধবার) মালয়েশিয়া রওনা হচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদও বিদেশে রয়েছেন।

নির্ভরযোগ্য দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের অর্ধশতাধিক চিকিৎসক ও কর্মকর্তা চলতি মাসের মধ্যে শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতে যাওয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা এখন সরকারি আদেশ, অর্থসংগ্রহ ও ভিসা সংগ্রহের জন্য দৌড়ঝাপ করছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন অপারেশন প্ল্যান (ওপি)’র একাধিক প্রোগ্রাম ম্যানেজারের (পিএম) এক পা দেশে এক পা বিদেশে রাখার মতো পোয়াবারো অবস্থায় রয়েছেন। এক দেশ থেকে ফিরেই আরেক দেশে ছুটছেন। ক্ষমতাসীন দলের চিকিৎসক নেতাদের আর্শীবাদপুষ্ট পিএমরাই বেশি সুযোগ পাচ্ছেন।

বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদক স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিদর্শনকালে দেখেন নিপসমের একজন অধ্যাপকের বিদেশ যাওয়ার জন্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর নেয়ার তাড়াহুড়া চলছে। অধ্যাপকের পিয়ন জানান, স্যার বলেছে ডিজি স্যার রাতে বিদেশ চলে যাবেন। আজ (বুধবার) ফাইলে স্বাক্ষর করাতে না পারলে বিদেশ যাওয়া হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন ওপিতে বিদেশে প্রশিক্ষণ ও সেমিনার খাতে অর্থবরাদ্দ থাকে। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সারাবছর যেতে না পারলেও বছরের শেষ সময়ে অর্থফেরত দিতে হবে তাই বিদেশ ভ্রমণের হিড়িক পড়ে যায়।

তবে মন্ত্রী, সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য খাতের গুরত্বপূর্ণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিতই আসা যাওয়া করেন বলে তারা মন্তব্য করেন।

আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।