এক ক্লিকে বৈধ ডাক্তারদের তথ্য


প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ১৭ জুন ২০১৫

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ থেকে পাশ করা বৈধ রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ৭০ হাজার এমবিবিএস ও ডেন্টাল ডাক্তারদের তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বসে যে কেউ বিএমডিসির ওয়েব সাইটে ঢুকে কম্পিউটার মাউসের বাটন ক্লিক করেই জেনে নিতে পারেন ডাক্তার আসল নাকি ভুয়া!

দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ থেকে পাশ করা ডাক্তারদের বাধ্যতামূলকভাবে বিএমডিসির রেজিস্টার্ড সনদ নিতে হয়। তাদের সনদ ছাড়া দেশ-বিদেশের কোথাও ডাক্তারদের চাকরি বা প্রাইভেট প্রাকটিস করার নিয়ম নেই।

বিএমডিসির তথ্যানুসারে বর্তমানে দেশে বৈধ রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত এমবিবিএস ও ডেন্টাল ডাক্তারের মোট সংখ্যা ৭৮ হাজার ৫৯৯ জন। তন্মধ্যে ৭২ হাজার ২৪৩ জন এমবিবিএস ও ৬ হাজার ৩৫৬ জন ডেন্টাল ডাক্তার রয়েছেন।

বিএমডিসির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, বছরখানেক আগে থেকেই ওয়েবসাইটি চালু রয়েছে। এখন পর্যন্ত ওয়েবসাইটিতে ক্রমানুসারে ১ থেকে ৭০ হাজার ডাক্তারের নাম ও ছবি, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, বাবার নাম ও ঠিকানা দেয়া আছে।

তন্মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা ৬৬ হাজার এমবিবিএস ও ডেন্টাল কলেজের ৪ হাজার ডাক্তার রয়েছেন। খুব শিগগিরই বৈধ রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল ডাক্তারের তথ্য বিএমডিসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে বৈধ ডাক্তারের পাশাপাশি ভুয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি। এক শ্রেণির প্রতারক ডাক্তারি পাশ না করেও নিজেদের এমবিবিএস ও ডেন্টাল ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ভিজিট নিয়ে রোগী দেখছেন। নামের আগে পরে বিভিন্ন ডিগ্রির নাম জুড়ে দিয়ে বিশেষজ্ঞ সাঁজছেন।
 
এসব প্রতারক কথিত ডাক্তাররা রোগ নির্ণয়ের নামে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েও বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে মোটা অংকের কমিশন হাতিয়ে নিচ্ছেন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিভিন্ন সময় ভূয়া ডিগ্রীধারী ডাক্তার ধরা পড়েছে।

সাধারণ মানুষকে ভুয়া ডাক্তারদের অপচিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা করতে ওয়েবসাইটিতে ডাক্তারদের প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত দেয়া আছে। শুধু ডাক্তারের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার জানলে ওয়েবসাইটে ঢুকে নম্বরটি বসিয়ে ক্লিক করে যে কেউ জেনে নিতে পারেন তিনি বিএমএর বৈধ রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত ডাক্তার কিনা।

বিএমডিসির রেজিস্ট্রার জানান, তারা ওয়েবসাইটিকে আরো তথ্যসমৃদ্ধ করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

প্রত্যেক ডাক্তারের কাছে হালনাগাদ রেজিস্ট্রেশন থাকা অত্যাবশ্যক উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কিভাবে স্বয়ংক্রীয়ভাবে মোবাাইলে ম্যাসেজ পাঠানো যায় সে ব্যাপারটি চিন্তাভাবনা চলছে।

এমইউ/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।