জামায়াতের কেন্দ্রীয় ১০ নেতাকর্মী আটক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কদমতলী থানাধীন পূর্ব ধোলাইপাড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও কেন্দ্রীয় মসজলিসে শূরার সদস্য আবদুস সবুর ফকির। শুক্রবার রাতে দলটির আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। বিবৃতিতে অন্যদের নাম উল্লেখ করেনি জামায়াত।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আটক জামায়াত নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক ও চাকু জব্দ করা হয়েছে। তবে নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনাকে অগণতান্ত্রিক ও যড়ষন্ত্র দাবি করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
আটকের বিষয় নিশ্চিত করে ডিএমপি'র ওয়ারি বিভাগ পুলিশের উপ-কমিশনার ফরিদ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, দুর্গাপূজা ও তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে নাশকতার পরিকল্পনাকালে তাদের আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক, চাকু ও জিহাদি বই জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের একটি বৈধ ও আইনানুগ রাজনৈতিক দল। সরকার জামায়াতে ইসলামীকে কোনো ধরনের সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে দিচ্ছে না। সরকার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের অফিসগুলো বেআইনিভাবে বন্ধ করে রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে সাংগঠনিক তৎপরতা এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে না দিয়ে সরকার সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছে।’
বিবৃতিতে অবিলম্বে জামায়াত নেতাদের মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান মকবুল আহমাদ।
জেইউ/জেএইচ