অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে ব্রিটেনের সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৮:২২ এএম, ১৬ জুন ২০১৫

যুক্তরাজ্যকে একটি মহান দেশ হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ব্রিটেনের আরো সহায়তা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করছে। তবুও ব্রিটেনের কাছ থেকে আরো সহায়তা আমাদের প্রয়োজন। ব্রিটেন একটি মহান দেশ এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদের সহায়তা দিয়ে আসছে। আমি আশা করছি, তারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

সোমবার বিকেলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ), যুক্তরাজ্য শাখার কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

ব্রিটেনকে বাংলাদেশের একটি প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও ব্রিটেন দু’দেশের পারস্পরিক কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করে যাবে।

দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এ লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য সুস্পষ্ট যে, আমরা একটি দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সকল আর্থ-সামাজিক খাতে ভাল অগ্রগতি লাভ করছে। আমরা নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করেছি এবং বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে চীন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি।

বাংলাদেশে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, চিরদিনের জন্য এ অঞ্চল থেকে দারিদ্র্য নির্মূল করার একটি অভিন্ন লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। আমি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে আমরা সকল সমস্যা সমাধান করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য নির্মূল করা এবং জনগণকে সকল মৌলিক সুবিধা প্রদান করা।
 
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিরাপত্তা ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষের মত সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য সবসময় কাজ করছে। শ্রমিকরা যাতে তাদের কর্মস্থলে সুষ্ঠু পরিবেশ পায় সেলক্ষ্যে সরকার যত্ন নিতে শুরু করেছে।

দারিদ্র্য হার হ্রাসের লক্ষ্যে সরকারের প্রয়াসের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এ মেয়াদে দারিদ্র্য হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। দারিদ্র্য হার ইতোমধ্যে ২২ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং আমরা আগামী সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই। আমি দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল যে, আমরা এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, লেবার পার্টির এমপি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এবং ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সের বেশকিছু সদস্য অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. আবদুল হান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরএস/আরআইপি/এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।