যতো প্রভাবশালী হোক ছাড় পাবে না চাঁদাবাজরা : আইজিপি
রমজানে রাস্তায়, টার্মিনালে, পরিবহনে ও নৌপথে চাঁদাবাজি কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবে না। চাঁদাবাজরা যতো বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন প্রমাণ পেলে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দোকান, শপিংমল ও ব্যবসায়িদের সঙ্গে কথা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সকল মার্কেট ও শপিংমলে সিসি ক্যামেরা লাগানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি ব্যাংক যেন সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয় সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে বলা হয়েছে। এছাড়া যেসব ব্যাংক সিসি টিভির আওতায় আসেনি তা পুলিশ সদর দফতরকে জানাতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইজিপি বলেন, ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে পকেটমার ও অজ্ঞানপার্টির তৎপরতা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। জনসাধারণের কেনা-কাটার সুবিধার্থে এবং তারাবীর নামাজের সময় অপরাধমূলক তৎপরতা প্রতিরোধে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যাপ্ত নৈশ টহল চলবে। ইফতার, সেহরী ও নামাজের সময় যেন বিদ্যুৎ নিরবিচ্ছিন্ন থাকে সে জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশ জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। আর্থিক লেনদেন করার সময় পুলিশের মানি এস্কট সুবিধা নিতে বলা হয়েছে।
মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধ এবং যানজট নিরসনে হাইওয়ে এবং জেলা পুলিশ বিশেষ তৎপর থেকে দায়িত্ব পালন করবে। ছিনতাইয়ের ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে যানবাহন না দাঁড়াতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পবিত্র রমজান ও ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, ট্রেন, বাস ও লঞ্চের নিরাপদ চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা, অজ্ঞান পার্টি এবং জাল টাকার অপব্যবহার রোধ করা হবে।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে পুলিশ, মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিউনিটি পুলিশের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মুজাহীদের রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেইউ/এআর/আরএস