ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সিংড়িয়া-রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ


প্রকাশিত: ০৮:৩৮ এএম, ১৪ জুন ২০১৫

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সিংড়িয়া-রতনপুর এলাকার দুটি অংশ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে রোববার  দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সিংড়িয়া-রতনপুর এলাকার দুটি অংশসহ ফুলছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সিংড়িয়া-রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি অংশ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে সিংড়িয়া বাঁধের পশ্চিম পার্শ্বের লোকজনের মধ্যে বন্যা ও ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে অন্তত চারটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বাড়িঘর ও হাজার হাজার একর ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

সেই সঙ্গে বাঁধ ভেঙে গেলে গাইবান্ধা জেলার সঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। সিংড়িয়া-রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওই ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চলের মধ্যে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ির উঠান, বীজতলা ও শাকসবজির ক্ষেত। অনেকে বন্যার পানি বাড়তে দেখে তাদের হাস, মুরগি, গরু, ছাগলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

ফুলছড়ির ভব রায়, আতিকুর রহমান, শামসুল আলম বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকলে ভিটেমাটি পানিতে তলিয়ে যাবে। কয়েক দিন ধরেই ব্রহ্মপুত্র নদে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে প্রবল স্রোতের কারণে দুই দিন ধরে নদীর ডান তীরে ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

ফুলছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল জানান, বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের জন্য ত্রাণ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফুলছড়ি উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরুণ কুমার সেন জানান, সিংড়িয়া-রতনপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দু’টি অংশে ভাঙন ঠেকাতে বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

অমিত দাশ/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।