পেশাদার রক্তদাতার সংখ্যা কমেছে


প্রকাশিত: ০৪:০৮ এএম, ১৪ জুন ২০১৫

পেশাদার রক্তদাতার সংখ্যা এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে বলে দাবি করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেভ ব্লাড ট্রান্সফিউশন প্রোগ্রামের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, দেশে রক্তদাতাদের সব সূচকেই অগ্রগতি হয়েছে। তবে পেশাদার রক্তদাতার সংখ্যা এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

জরিপে বলা হয়, আত্মীয় রক্তদাতাদের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত গত ১৫ বছরে এই সংখ্যা শতকরা ২০ ভাগ থেকে প্রায় সত্তর ভাগ বেড়েছে।  স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংখ্যাও শতকরা ১০ থেকে ৩৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেভ ব্লাড ট্রান্সফিউশন প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, ব্লাড সেন্টার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে যে রক্ত সংগ্রহ করা হয়, তাতে তাদের চাহিদা পুরোপুরি পূরণ হচ্ছে না। আরো সাত লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

দেশে এখন কোনো পেশাদার রক্তদাতা নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক বলেন, আত্মীয় ও স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংখ্যাও বেড়েছে। স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা শতভাগে উন্নীত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বছরে একশ` সাত কোটি ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। ৬০টি দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা শতভাগ। উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার হার প্রতি হাজারে ৪০ জন এবং উন্নয়নশীল দেশে এ সংখ্যা প্রতি হাজারে ৪ জনেরও কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সন্ধানী, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বাঁধনসহ দেশের স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠনের ২১৩টি রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের মাধ্যমে ছয় লাখ ১৮ হাজার ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়।

এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।