নির্ধারিত সময়ে শিশুশ্রম নিরসনের তাগিদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪৭ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিশুশ্রম দূর করার তাগিদ দিয়েছে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনের জন্য এ বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে গুরুত্বারোপ করা হয়। অগ্রাধিকারভিত্তিক স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী কাজের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সোমবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কর্মশালায় তারা এ আহ্বান জানান।

‘জাতীয় শিশুশ্রম প্রতিরোধ নীতিমালা ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনা’ পর্যালোচনা প্রতিবেদন উত্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন। এসএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উত্থাপন করেন শরফুদ্দিন আহমেদ।

কর্মশালায় প্যানেল আলোচক ছিলেন বিলসের নির্বাহী পরিচালক সুলতান উদ্দিন আহমেদ, বিএসএএফ’র পরিচালক এ এস মাহমুদ ও সিএসএস’র (বাংলাদেশ) প্রধান পরামর্শক গোবিন্দ সাহা। এসএসডির উপ-নির্বাহী পরিচালক মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় আরও অংশ নেন শ্রমিক নেতা মো. আবুল হোসেন, আইএলও’র মনিয়া সুলতানা, অপরাজেয় বাংলার জুলফিকার আলী, সিএসইডি’র আকরাম হোসেন প্রমুখ।

গবেষণা প্রতিবেদনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম ও ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়নে কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। শিশুশ্রম নীতিমালার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনগুলোকেও যুগোপযোগী করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

বিলসের সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা পূর্বনির্ধারিত ২০১৫ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করতে ব্যর্থ হয়েছি। নতুন করে ২০২১ সাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ে কাজটি করতে হলে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। এছাড়া ২০১৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিরসন কঠিন হবে বলেও তিনি দাবি করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোন্দকার মোস্তান হোসেন বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কর্মসূচি নিয়েছে। তবে এই কর্মপরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

রোহিঙ্গা শিশুদের বিষয়ে এখনই সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এস এ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ শিশু। যারা আগামীতে আমাদের শ্রম বাজারে যুক্ত হবে। যে বিষয়টি নিয়ে এখনই বিবেচনা করা প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে জামিল এইচ চৌধুরী বলেন, আমাদের অনেক নীতিমালা থাকলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। এমনকি জনগণও অনেক নীতিমালা সম্পর্কে জানতে পারে না। গৃহশ্রমিক নীতিমালাসহ অন্যান্য নীতিমালার প্রচারে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।

এইচএস/এমআরএম/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।