সোমবার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার ভোটগ্রহণ
আগামী সোমবার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যেও আনন্দের কোনো কমতি নেই। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। চাইছেন ভোট আর দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। তবে ভোটাররা জানিয়েছেন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত করবেন তারা।
জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ৬ জুন ১৬.৯০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা। এরপর গত ১৩ মে প্রথমবারের মতো পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আনন্দে উদ্বেলিত পৌর এলাকার ভোটাররা। আগামী সোমবার ১৭ হাজার ৪৬৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত করবেন প্রথম পৌর মেয়রকে।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণের উপজেলা বাঞ্ছারামপুরের বিভিন্ন এলাকাগুলো এখন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। নির্বাচন পৌরসভার হলেও উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে গেছে পুরো বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৌর এলাকার চায়ের দোকানগুলোতে চলে ভোটারদের আড্ডা আর ভোটের নানা হিসেব-নিকেশ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা বিরামহীনভাবে ছুটছেন ভোটারদের কাছে। পৌর এলাকায় গ্যাস-বিদ্যৎ সরবরাহসহ উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাইছেন ভোট।
পৌর এলাকার কয়েকজন ভোটার জানান, আমাদের নতুন এই পৌরসভা গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নান সমস্যা রয়েছে। যারা আমাদের এসব সমস্যা সমাধানে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবেন আগামী সোমবার আমরা তাদেরকেই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবো।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থী মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আগামী সোমবার ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করলে পৌর এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও মাদকমুক্ত পৌরসভা গঠনসহ এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাব।
আরেক মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান ভূইয়া বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাব। যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে আমি নির্বাচনে বিজয়ী হব।
এদিকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস বলেন, ভোট গ্রহণের দিন র্যাব, পুলিশের বিভিন্ন টিম মাঠে থাকবে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন, কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমএএস/আরআই