'রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই সমাধান'

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই এ সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস।

রোববার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। আপনারা জানেন যে কাল (সোমবার) থেকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এ ইস্যুটি ইতোমধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। এর সঙ্গে একটি বিবৃতিও দেয়া হয়েছে।

প্রথমত সেখানকার মানুষদের যাতে মৃত্যু ভয়ে পালিয়ে আসতে না হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। আর যারা পালিয়ে এসেছে তারা যাতে শিগগিরই আবারো নিজ দেশে সন্মানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ফিরে যেতে পারে, তাও নিশ্চিত করতে হবে। আমি নিশ্চিত সব ধরনের উপায়ই সাধারণ অধিবেশনে আলোচনার টেবিলে উঠে আসবে। যার মাধ্যমে বর্তমানে মিয়ানমারে যে হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তা বন্ধ হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের ওপরই আস্থা রাখছে বাংলাদেশ। এ ইস্যুতে গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের পাশে আছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

তিনি বলেন, প্রত্যাশা করছি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের মধ্য দিয়ে আরও সঠিক, সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ব সম্প্রদায়। প্রয়োজনে যত দূর যেতে হয়, বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেখানে পাশে রয়েছে, সেখানে আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতেই পারি। কফি আনানের প্রতিবেদনটাই হলো মূল। আর এটি বাস্তবায়ন হলে আমরা খুশি।

সরকারের অগ্রাধিকার কর্মসূচি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন জাতিসংঘের সহযোগিতা খোঁজা হবে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণভাবে এ বিপর্যয় ঠেকাতে সহায়তা যাতে দ্রুত সময়ে পৌঁছায় তা দেখতে হবে। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের শৃঙ্খলার সঙ্গে ক্যাম্পগুলোতে নিয়ে আসা, তাদের খাদ্য দেয়া, পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, যে স্বাস্থ্য সেবা দরকার তার ব্যবস্থা করাই আমাদের অগ্রাধিকার কর্মসূচি।

জেপি/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।