ওএমএসে আতপ চাল, কেজি ৩০ টাকা
বাজারে চালের দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে রোববার থেকে ওএমএসে (খোলা বাজারে বিক্রি) চাল বিক্রি শুরু করেছে সরকার। তবে তা সিদ্ধ নয়, আতপ চাল। দামও ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
প্রথম দিন বড় বড় শহরে সীমিত আকারে ওএমএসে চাল বিক্রি শুরু হলেও সোমবার থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তবে সিদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল এবং এর দাম দ্বিগুণ হওয়ায় তেমন সাড়া নেই ক্রেতাদের মধ্যে। এছাড়া আতপ চালের ভাত খেতে অভ্যস্ত নন দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলের মানুষ।
ঈদুল আজহার আগে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা হলেও এখন তা ৫০-৫৫ টাকা। গত কয়েক মাস ধরে ওএসএসে চাল বিক্রি বন্ধ আছে। তবে ওএমএসে আটা বিক্রি চালু ছিল।
খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি গুদামে সিদ্ধ চালের সংকট, এজন্য ওএমএসে আতপ চাল দেয়া হচ্ছে। কারণ সরকার বোরো সংগ্রহ করতে পারেনি। অন্যদিকে বিদেশ থেকে যে চাল আমদানি করা হচ্ছে তাও আতপ চাল। তাই ডিলারসহ ক্রেতারা মনে করছেন চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হলেও গরিবের স্বস্তি ফিরছে না।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছিলেন, ওএমএসের চালের দাম আগের মতোই ১৫ টাকা থাকছে।
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ঢালকানগর লেনের ছাপড়া মসজিদ রোডের ওএমএস ডিলার হালিম সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘পিঠা ছাড়া ঢাকায় কয়জন আতপ চাল খায়? দামও হঠাৎ করে দ্বিগুণ। তাই ওএমএসের চাল কিনতে মানুষের আগ্রহ নেই। এই চালে মানুষের লাভ নাই।’
খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন) কাজী নুরুল ইসলাম রোববার বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওএমএসে চাল বিক্রি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ঢাকায় ১১০টি ট্রাক নেমেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী শহরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে জেলা পর্যায়ে সব জায়গায় শুরু হয়ে যাবে।’
কেজিপ্রতি চালের দাম ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা রাখা হচ্ছে জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘বাজারের তুলনায় চালের দাম কম হলে আত্মসাতের প্রবণতা বেশি হয়।’
ওএমএসে আতপ চাল দেয়ার বিষয়ে পরিচালক বলেন, ‘সিদ্ধ চাল দিতে পারলে মানুষের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হতো। অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছে বলেও মনে হচ্ছে। এখন আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সিদ্ধ চাল নেই। বিদেশ থেকে প্রায় সবই এসেছে আতপ চাল। আতপ চাল বেশি দিন সংরক্ষণও করা যায় না। এজন্য ওএমএসে আতপ চাল দেয়া হচ্ছে। আগে কখনও অবশ্য ওএমএসে সেভাবে আতপ চাল দেয়া হয়নি।’
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে সরকারি গুদামে সিদ্ধ চালের মজুদ রয়েছে। সেখানে সিদ্ধ চাল দেয়া হবে। তবে চট্টগ্রামে আতপ চাল দেয়ায় ওখানকার মানুষ খুশি। তবে ঢাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে।’
আরএমএম/ওআর/জেআইএম