২০১৮ সালে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ চালু : রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফাস্ট ট্রাক বা অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের আওতাধীন রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে, যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে জাসদ (একাংশ) সভাপতি সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
বাদল প্রশ্ন করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চট্টগ্রাম থেকে চারটি নদী পার হতে হবে। এর মধ্যে কর্ণফুলী নদীর উপরে কালুখালী ব্রিজের (যার অগ্রগতি নেই) বিষয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন রয়েছে। এ প্রকল্পে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে টেন্ডারসহ সব কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের কাজ করছে সিআরজি-চায়না। অর্থায়নও নিশ্চিত হয়েছে। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এটির কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার, আমরা তেমনি ভাবে কাজ শুরু করব।
কালুখালী ব্রিজ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এটির জন্য ১২০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ প্রকল্পের জন্য কোরিয়া অর্থায়ন করবে বলে সম্মতি দিয়েছে। তাদের সঙ্গে এমওডি (মিনিউটস অব ডিসকারশন) সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই কোরিয়ান প্রতিনিধিরা ইআরডির সঙ্গে বৈঠক করবে। যদি তারা চুক্তিতে সম্মত হয় তাহলে আমরা এর কার্যক্রম শুরু করতে পারব। তবে অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় কাজ করতে পারছি না।
মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক বলেন, বর্তমানে দেশের ৪৪টি জেলা রেল নেটওয়ার্কে রয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে আরও ৯ জেলা (মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, বরিশাল, বান্দরবন, কক্সবাজার ও নড়াইল) রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে আসবে। পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের সবকটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে আনা হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
এইচএস/এএইচ/আরআইপি