‘৫০ হাজার বস্তিবাসীর জন্য ভাড়াভিত্তিক বিল্ডিং হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাজধানীর ৫০ হাজার বস্তিবাসীর জন্য ভাড়াভিত্তিক উঁচু বিল্ডিং করা হবে। বস্তিবাসীর আয়ের উপর নির্ভর করে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।

রোববার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত ফ্ল্যাট আইডি বরাদ্দ লটারি অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বস্তিবাসীরা অবৈধভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ নেয় টাকা দিয়ে। এসব কাজে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তার থেকে তাদের কম টাকা খরচ হবে রাজউকের বিল্ডিংয়ে বসবাস করতে। এখন থেকে উঁচু বিল্ডিং নির্মাণ করে সবার বসবাসের ব্যবস্থা করা হবে। রাজধানীর ঝিলমিল প্রকল্পে আরও ১৪ হাজার এবং পূর্বাচল প্রকল্পে ৭০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

ফ্ল্যাট আইডি বরাদ্দ লটারি রাজউক চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান বলেন, এক সময় মানুষ শঙ্কায় ছিল কোনো দিন তারা ফ্ল্যাট পাবে কি না। আজ সেই সঙ্কা কেটে গেছে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যে যারা চার কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন তারা ডিসেম্বরের মধ্যে ফ্ল্যাট বুঝে পাবেন।

প্রথমবারের মতো ফ্ল্যাট আইডি বরাদ্দের কাজ শুরু করেছে রাজউক। উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে ১৮ নং সেক্টরে ১৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের মোট ফ্ল্যাট সংখ্যা ৬ হাজার ৬৩৬টি।

৬ হাজার ৬৩৬ ফ্ল্যাটের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৬১৪টির। চার কিস্তির টাকা পরিশোধ করেছেন ১ হাজার ৮৩২ ফ্ল্যাট গ্রহীতা । এর মধ্যে হস্তান্তর উপযোগী ৮৪০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৩টি ফ্ল্যাট আইডি এস এ গেমসে স্বর্ণজয়ী তিন জনকে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। বাকি ৮৩৭টি ফ্ল্যাট আইডি লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথমবারের মতো স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে সাড়ে ৮ শতাংশ সুদে ২৫ বছয় মেয়াদি সুদে লোন নিয়ে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধের সুযোগ পাবেন বস্তিবাসী।

অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ব্যাংকের অ্যাকটিং সিইও (ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নাসির হায়দার বিজয় বলেন, সুদের হার বৃদ্ধি পাবে না কমবে তা নির্ভর করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর। এ ছাড়া কোনো গ্রাহককে আর কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না ।

প্রতিটি ফ্ল্যাটে ৩টি বেড রুম, একটি লিভিং রুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি ফ্যামিলি লিভিং, ৪টি বারান্দা, ৪টি টয়লেট ও কিচেন রয়েছে। এ ছাড়া ২০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি উন্নতমানের লিফট রয়েছে। ভবনে ১টি প্রধান সিঁড়ি ও ২টি অগ্নিনির্বাপক সিঁড়ি রয়েছে।

প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকের প্রতিটি ভবনে একটি বেজমেন্ট, গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ১৪টি ফ্লোর রয়েছে। ১৪টি ফ্লোরের প্রতিটিতে নেট ১২৭৬ বর্গফুটের (গ্রস ১৬৫৪ বর্গফুট) ৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ভবনে ৮৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ৭৯ লাখ ৩৯ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে গ্রাহককে।

এএস/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।