এখনও কালো ধোঁয়া জঙ্গি আস্তানায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিরপুর মাজার রোড এলাকার জঙ্গি আস্তানায় মঙ্গলবার রাতের বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুন নিভে গেলেও, এখনও ভবনের কিছু কিছু স্থানে ধোঁয়া রয়ে গেছে।

বুধবার সকাল থেকেই ওই ভবনে ধোঁয়া নির্গমন ও উদ্ধার অভিযানে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের সদস্যরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আস্তানার পাশে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, গতকাল রাতে স্থগিত হওয়া অভিযান কিছুক্ষণ আগে আমরা শুরু করেছি। গতকাল বিস্ফোরণে সৃষ্টি অগ্নিকাণ্ড এখন না থাকলেও কিছু কিছু স্থানে ধোঁয়া দেখা গেছে। এখন ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড কাজ শুরু করেছে। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ভেতরে হতাহতের বিষয়ে এখনো কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। অভিযানিক দল নিশ্চিত করলে আপনাদের জানানো হবে।

বিস্ফোরণের পর আস্তানার ভেতরের কারও সঙ্গে র‌্যাবের যোগাযোগ হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে তিনি বলেন, গতকাল সকাল থেকেই আমরা ভেতরের জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। ভিন্ন সময় ভেতর থেকে আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা আত্মসমর্পণের জন্য রাজি হয়েছিলেন এবং নির্ধারিত সময়ও দেয় আমাদের। পরে আত্মসমর্পণ না করে পৌনে ১০টার দিকে অনেকগুলো বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে আস্তানার ভেতর থেকে আর সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগুন জ্বলায় ফ্ল্যাটের বিভিন্ন স্থান কালো হয়ে গেছে। তবে একটি দেয়াল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে। ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।

এদিকে, আস্তানার আশপাশের ভবনে র‌্যাব সদস্যদের অস্ত্র হাতে অবস্থান করতে দেখা গেছে। যথারীতি পুরো এলাকা কর্ডন করে রেখেছে র্যাব।

গত সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। ওই আস্তানা থেকে জেএমবির দুই জঙ্গিকে আটক করা হয়। পরে তাদের তথ্য অনুযায়ী রাত ১টায় অভিযান চালিয়ে মাজার রোডের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের দক্ষিণে বর্ধনবাড়ি এলাকার ভাঙ্গাওয়াল গলির ২/৩/বি নম্বর ছয়তলা ভবন ‘কমল প্রভা’র পঞ্চমতলায় জঙ্গি আস্তানাটি খুঁজে পায় র‌্যাব। ওই ফ্ল্যাটে দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই সহযোগীসহ অবস্থান করছেন ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহ। সেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ রয়েছে বলে র‌্যাবের দাবি।

এদিকে, র‌্যাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে আত্মসমর্পণের কথা জানায় আবদুল্লাহ। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলে আরও ৩০ মিনিট সময় সময় চান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। এতে কেমিক্যাল এক্সপ্লোশন হয়ে ভবনের পাঁচতলায় আগুন ধরে যায়।

জেইউ/এআর/এসআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।