মানবিক সঙ্কট অবশ্যই শেষ হবে : ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইন্দোনেশিয়া। তিনি আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, মানবিক এ সঙ্কট অবশ্যই শেষ হবে।

চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের উপায় খুঁজতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি মঙ্গলবার দুপুরে ১২টার দিকে ঢাকা পৌঁছান। বিকাল ৪টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ ইস্যুতে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

rohingya

পরে তিনি গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন রেনটো মারসুদি। তিনি এ সময় আশা প্রকাশ করে বলেন, মানবিক এ সঙ্কট অবশ্যই শেষ হবে।

rohingya

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমটি হলো- রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে তাতে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

দ্বিতীয়টি হলো- রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বোঝাস্বরূপ (বারডেন)।

তৃতীয়ত হলো- মানবিক এ সঙ্কট নিরসনে আমরা (ইন্দোনেশিয়া) বাংলাদেশের পাশে আছি এবং থাকব।

মঙ্গলবার রাতেই ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

rohingya

এদিকে, রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামীকাল বুধবার গভীর রাতে বাংলাদেশে আসছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুফোগলু। নিজস্ব বিমানে আসছেন তিনি। তার সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়ার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে তুরস্কের নীতির সঙ্গে বাংলাদেশের নীতির মিল থাকায় এ আলোচনাটি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশে অবস্থিত সব রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন, রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ এবং কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত রাখাইন পরামর্শ কমিশনের পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় বাংলাদেশ। এই তিনটি বিষয়ে তুরস্কের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

এইউএ/এমএআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।