লেজ বেচে মুনাফার আশা শামসুর

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাজধানীর লালবাগের পোস্তা এলাকার রাস্তায় সাদা, কালো, মেরুনসহ বিভিন্ন রংয়ের গরুর লেজ নিয়ে বসে আছেন চামড়ার আড়তের শ্রমিকরা। মৌসুমী ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আড়তদারের কেনা গরুর চামড়া থেকে কেটে রাখা লেজগুলো বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। এগুলো ফাউ হিসেবে পেয়েছেন তারা।

এ সময় সেখানে আসেন শামসু শেখ নামে এক বৃদ্ধ। লেজের দরদাম করতে দেখা যায় তাকে। অনেক সময় ধরে দরদামের পর প্রতি পিস লেজ পৌণে ২ টাকা হারে নির্ধারণ হয়। কেনা শেষে লেজগুলো বস্তায় ভরতে শুরু করেন তিনি। এ দৃশ্য গতকাল রোববার দুপুরের।

tail

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জামালপুরের বাসিন্দা ও বর্তমানে কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা শামসু শেখ জানান, তিনি প্রতি বছরই পোস্তা থেকে গরুর লেজ কেনেন। একসময় আড়তদাররা এসব লেজ বিনামূল্যে দিলেও কয়েক বছর ধরে আড়তের শ্রমিকরা আবদার করে চেয়ে নিয়ে তাদের কাছে বিক্রি করছেন।

শামসু শেখ জানান, এখান থেকে লেজগুলো নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে লোম ছাড়িয়ে পরে রোদে শুকিয়ে নেবেন। শুকনো লেজ আমলিগোলা এলাকার আড়তদারের কাছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। এসব লেজের লোম দিয়ে জুতার ব্রাশসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয়।

tail

এ থেকে মুনাফা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, ‘মুনাফার আশায় তো কিনছি, আশা করি ভালই মুনাফা হবে।’

শামসু শেখের পাশেই বসেছিলেন তার পরিচিত হারু মিয়া। কথা প্রসঙ্গে হারু মিয়া জানান, মাথার চামড়ার সঙ্গে গরুর শিংগুলো কিনতেই তিনি অপেক্ষা করছেন। গরুর মাথার চামড়ায় জুতা তৈরি হয় ও শিং দিয়ে চিরুনীসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয়।

tail

গরুর কোনো জিনিস ফেল না যায় না বলেও মন্তব্য করেন হারু মিয়া।

এমইউ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।