কর্মব্যস্ত পশুর হাট এখন ফাঁকা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা
প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কয়েকদিনের জন্য পশু, ক্রেতা, বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টদের পদচারণায় চঞ্চল হয়ে ওঠা রাজধানীর কোরবানির হাটগুলো এখন শূন্য। কোথাও কোথাও কিছু গরু-ছাগল আর ক্রেতা বিক্রেতা থাকলেও ব্যস্ততা নেই। শনিবার রাত পর্যন্ত ধুমছে বিক্রি হওয়া গরু, ছাগল, ভেড়ায় ওই সব বাজার সরগরম থাকলেও মধ্যরাতে নেমে এসেছে নিরবতা।

2017August

শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর তিনশ ফিট, একশ ফিট, আফতাব নগর ও মেরাদিয়া পশুর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

ওইসব বাজারে দিনভর পশু বিক্রির পর বিকেলে পশুর ঘাটতি দেখা দেয়। শেষ বেলায় যারা পশু কিনবেন বলে মনস্থির করছেন তারা তিন-চারটি বাজার ঘুরেও শেষ পর্যন্ত পশু পাননি। কেউ কেউ আবার পশু কিনেছেন চড়া দামে।

রাত ১১টায় তিনশ ফিট এলাকার পশুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে মাত্র দুই থেকে তিনশ গরু আর কয়েকটি ছাগল রয়েছে। কিন্তু ক্রেতা অনেক। আর বাজারে গরুর স্বল্পতার কথা শুনে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা থেকে দুই ট্রাক গরু আসে। সেই গরুকে ঘিরে ক্রেতাদের ভিড় লাগে।

2017August

উত্তরার বাসিন্দা আবদুল করিম জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার গরুর দাম কমতে পারে ভেবে গরু কেনেননি। এছাড়া রাজধানীতে গরু রাখাও সমস্যা। এজন্য শেষ বেলায় কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিকেলে চারটি বাজার ঘুরেও তিনি গরু পাননি।

একশ ফিটে কথা হয় পাবনার গরু ব্যবসায়ী মজিবরের সঙ্গে। তিনি জানান, এবার ২০টি গরু এনেছিলেন। এখন মাত্র দুটি অবিক্রিত রয়েছে। ঈদের দিন বিক্রির জন্য আরও গরু আনতে পরিচিত ব্যবসায়ীদের বলেছেন তিনি। ঈদের দিন সকালে আরও কিছু গরু আসবে।

2017August

আফতাব নগরে গরু বিক্রি করে চলে যাচ্ছিলেন সিরাজগঞ্জের করিম, আশরাফ ও মমিন। শেষ দিন তারা ১২টি গরু বিক্রি করেছেন। ভাল দামেই বিক্রি করেছেন বলে জানান তারা।

2017August

গত শুক্রবার বাজারে আসা মমিন বলেন, এতদিন কত লোক ছিল বাজারে। এখন কেউ নেই। তাই বিরক্ত লাগছে।

প্রসঙ্গত, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় ৭০ লাখ পশু বিক্রি হয়। আর বাণিজ্য হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার।

এইচএস/এএইচ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।