দেশীয় পদ্ধতিতে অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসা
সম্পূর্ণ দেশীয় উপাদানে তৈরি আরইউটিএফ (রেডি টু ইউজ থেরাপেটিক ফুড) ব্যবহারের মাধ্যমে মারাত্মক অপুষ্টির ছয় লাখ শিশুর অকালমৃত্যুরোধ ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত আরইউটিএফ-এর দাম অনেক বেশি হলেও দেশীয় উপাদানে তৈরি আরইউটিএফ-এর মানের তেমন পার্থক্যে নেই। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে আরইউটিএফ নিশ্চিত করতে পারলে দেশে মারাত্মক পুষ্টিহীন বিপুল সংখ্যক শিশুর সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব।
সোমবার রাজধানীর আইসিডিডিআর’বির সাসাকাওয়া মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপি ‘ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন চাইল্ডহুড একিউট ম্যালনিউট্রেশন’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআর’বির সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. তাহমিদ আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি জানান, আইসিডিডিআর’বি মারাত্মক অপুষ্টি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য প্রটোকল তৈরি ও চিকিৎসা প্রদান করে সাফল্যে পেয়েছে। দেখা গেছে তাদের প্রটোকলে চিকিৎসায় মারাত্মক অপুষ্টির শিকার শিশুদের শতকরা ৫০ ভাগ মৃত্যুরোধ করা সম্ভব।
মারাত্মক অপুষ্টির শিকার শিশুদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে যদিও সরকারিভাবে জাতীয় গাইডলাইন তৈরি হয়েছে তবে সারাদেশব্যাপি কার্যক্রম এখনো শুরু করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিশ্বে প্রতি বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ২০ লাখ শিশু মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার হয়। আক্রান্তদের অধিকাংশই এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের। মারাত্মক অপুষ্টির প্রকোপের হারের দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ।
সম্প্রতি অবসরে যাওয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ (জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক) বলেন, জাতীয় পুষ্টি কার্যক্রমের অধীনে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে দেশীয় ও সহজলভ্য উপাদানে তৈরি আরইউটিএফ খাওয়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
দু’দিনব্যাপি সম্মেলনে বিশ্বের সাতটি দেশের পুষ্টি বিশেষজ্ঞসহ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।
এমইউ/বিএ/আরআইপি