নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন : প্রধানমন্ত্রী
তিস্তার পানির ব্যাপারে আশাবাদি সরকার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিশ্বাসের যে সেতু বন্ধন তৈরি হয়েছে, তাতে তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যারও সমাধান হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার এমনটি মনে করছে। আর এজন্য আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সময় তিস্তা চুক্তি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকা একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, মন্ত্রিসভার সব সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি বন্টন সমস্যারও সমাধান হবে। যেহেতু দু’দেশের মধ্যে একটি বিশ্বাসের বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে, আমি আশাবাদী, এই সমস্যারও সমাধান হবে।
বৈঠকে স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়েও আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী এটিকে অনেক বড় বিষয় বলে উল্লেখ করেন।
সীমান্ত চুক্তি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্য বক্তব্যে বলেন, যে চুক্তি অনুমোদন হলো, এটা অনেক অর্জন, অনেক বড় ঘটনা। এটা যদি কোনো ধনী দেশে হতো, তাহলে এর জন্য নোবেল পুরস্কার নিয়ে আলোচনা হতো। কিন্তু আমরা গরীব দেশ, এটা নিয়ে আলোচনা হবে না।
মোদির প্রসঙ্গ নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, উনি ঠিকই বলেছেন। ধনী দেশ হলে নোবেল পুরস্কার নিয়ে আলোচনা হতো।
বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরা।
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে মোদি যে প্রশংসা করেছে তা নিয়েও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশের মানুষের উন্নয়ন চাই, সেবা করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। এ কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।
এ সময় কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১/১১’র হোতারা আমাকে বলেছিলেন, তারা আমাকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেবেন। আমার তো কোনো সুযোগ-সুবিধার দরকার নাই। আমার এমনিতেই সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। দেশের মানুষের সেবা করতে চাই, আমি নির্বাচন চাই।
এসএ/আরএস/আরআইপি