সাদা রাজকে দেখতে মধ্যরাতেও একশ ফিটে ভিড়

সিরাজুজ্জামান
সিরাজুজ্জামান সিরাজুজ্জামান , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৭

সাদা ধবধবে লোমশ শরীর। বড় দুই কানের ওপর ছোট্ট দুটি শিং। তুলনামূলক লম্বা গলা নিয়ে চালচলনে গম্ভীর ভাব। যাবর কাটাও রাজকীয় ভঙ্গিতে। এজন্য হাটের অন্য ব্যাপারীরা এর নাম দিয়েছেন সাদা রাজ। আরেকটির নাম রূপালী মিয়া। কারণ রূপার মতো রূপালী তার লোম।

আর তা দেখতেই মধ্যরাতেও আশেপাশের লোকজন ভিড় করছেন। বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা আর শাহজাদপুরসহ আশেপাশের শিশু কিশোর ও নারীদের ভিড় ভেড়া দুটি দেখতে। সঙ্গে আছে বাহারি রঙের রাম ছাগলও।

বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর একশ ফিট এলাকার পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, গাড়ল জাতের ভেড়া দুটি আনা হয়েছে কুষ্টিয়া থেকে। এটি মূলত ভেড়ার একটি উন্নত জাত। দেশি ভেড়া ও গাড়লের ক্রসে সংকর জাত।

এর মালিক হাসান আলীর দাবি, বাজারের সবচেয়ে বড় এই ভেড়াগুলোর ওজন ৩০ ও ৩৫ কেজি। বাজারের সবচেয়ে বড় ভেড়ার দাবি যাচাই করতে বাজার ঘুরে এর সত্যতাও মিলল।

মালিক বড়টির দাম চাচ্ছেন ৫০ হাজার টাকা। আর ছোটটির ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু হিসাব করে দেখা গেছে, এত দামের ভেড়া কিনলে কেজি প্রতি ১৪’শ টাকা গোস্তের দাম পড়বে।

vera

এটি অস্বাভাবিক কি না? কেন ক্রেতারা এই দামে কিনবেন? এর উত্তরে তিনি জানান, দাম চাচ্ছেন ৫০ হাজার। কিন্তু সবাইতো আর এই দামে কিনবেন না। ৩৫ হাজার টাকা হলেই ছেড়ে দেবেন।

তবুও তো অস্বাভাবিক লাগবে? হাসান আলী বলেন, এইসব ভেড়া মানুষ শখ করে কেনে। গুলশান বারিধারার শৌখিন লোকজন তার ক্রেতা। তাই এই বাজারে প্রতিবছর তিনি ভেড়া আনেন।

ওই বাজারের শুরুতেই ছাগল আর ভেড়া বিক্রি হচ্ছে। ওই ভেড়া দুটি দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন। বাচ্চারা হাত বুলাচ্ছেন। এত রাতে সেখানে কেন? জানতে চাওয়া হয় গুলশান-২ থেকে আসা তানিয়া ইসলামের কাছে। তিনি তার দুই সন্তান নিয়ে বাজারে এসেছেন।

জাগো নিউজ তিনি জানান, মূলত রাতে ভিড় কম। তাই বেড়াতে এসেছেন। বাচ্চারা গরু দেখে ভয় পায়। ভেড়া ও ছাগলগুলো নিরীহ মনে হচ্ছে। তাই অনেকক্ষণ তারা পশুগুলো নিয়ে খেলছে। তবে কোরবানির জন্য ভেড়া কেনার কোনো ইচ্ছা নয় বলে জানান তিনি।

vera

শাহজাদপুর থেকে আসা শিশু মন্টি জানায়, ভেড়াগুলো অনেক কিউট। তাই দেখতে এসেছে। তার বন্ধুরা ভেড়াগুলো দেখে তাকে স্কুলে বলেছে। তাই বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সে বাজারে এসেছে।

সেখানে রঙবেরঙের অনেক জাতের ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। রাম ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে দেশাল ছাগল। কুষ্টিয়া থেকে আসা ফারুক একটি ২৫ কেজির দেশাল ছাগল দেখিয়ে বলেন, সেটি ২৬ হাজার টাকা চাচ্ছেন।

তবে বুধবার সকালে ১৬টি ছাগল বাজারে তুললেও সারাদিনে একটিও বিক্রি হয়নি বলে তিনি জানান।

এইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।