জ্বর ওঠায় শেষ হলো না মুক্তামণির অস্ত্রোপচার
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামণির দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার শুরু করেও শেষ করতে পারেননি চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সকালে রক্তনালির টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামণির ডান হাতে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার শুরু হয়। তবে অতিরিক্ত জ্বর ওঠায় মাঝপথেই বন্ধ করা হয় অস্ত্রোপচার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। এই অপারেশন ঈদের পর আবার করা হবে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফায় হাতের অপারেশন করতে মঙ্গলবার সোয়া ৯টায় অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। সাড়ে ৯টার দিকে অপারেশন শুরু করা হলে ২০ শতাংশ অপারেশন শেষ হতেই মুক্তামণির শরীরে অতিরিক্ত জ্বর ওঠে। ফলে অপারেশন বন্ধ করা হয়।
ডা. সামন্তলাল সেন আরও বলেন, মুক্তামণির জ্বরের কারণে অংশিক অপারেশন করা হয়েছে। ঈদের পর রোববার কিংবা সোমবার অাবারও অপারেশন করা হবে।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্র জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে কেবিনে থাকা মুক্তামণির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, একই ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শারমিন সুমি এ সময় মুক্তমণির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগে মুক্তামণির সঙ্গে কথা বলেন তার বাবা-মা। পরে বাবা ইব্রাহীম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাতে দ্বিতীয় অপারেশন করতে নেয়া হলো। সবাই দোয়া করবেন, যেন কোনো সমস্যা না হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
গত ১২ আগস্ট প্রথম দফায় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় মুক্তামণির।
জেইউ/আরএস/জেআইএম