মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সম্মাননায় বাজপেয়ি (ভিডিও)


প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ০৭ জুন ২০১৫

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়িকে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করলো বাংলাদেশ সরকার। বেলা ১টা ১০এর দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হাত থেকে ভারতের সফররত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্মাননা- স্মারক গ্রহণ করেন। অসুস্থতার কারণে বাজপেয়ি নিজে ঢাকায় এসে এই সম্মান গ্রহণ করতে পারেননি।

ভারতের একাদশতম প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নেন। সেসময় তিনি ভারতীয় জন সংঘ দলের প্রেসিডেন্ট এবং লোকসভা সদস্য ছিলেন। তাঁর এই রাজনৈতিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বাজপেয়ি ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরির উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে মুজিবনগর সরকারকে সমর্থন দিতে ভারত সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে ভারতীয় জন সঙ্ঘের সদস্যদের নিয়ে এই সমর্থন আদায়ে সত্যাগ্রহ আন্দোলন ও প্রতিবাদ মিছিলও করেন বাজপেয়ি। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে প্রচার চালান ভারতের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।



অটল বিহারী বাজপেয়ি ১৯২৪ সালে ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের জন্য বাজপেয়ি প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টি’র (বিজেপি) নেতা বাজপেয়ি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের বাইরের কেউ হিসেবে প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রীত্বের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অকৃত্রিম বন্ধু অটল বিহারী বাজপেয়ি নব্বইয়ের চৌকাঠ পেরিয়েছেন গতবছর।

বাজপেয়িকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া  মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বাজপেয়ির অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।