হজযাত্রী পরিবহনে সফলতার দ্বারপ্রান্তে বিমান
এবার শুরু থেকেই সব হজযাত্রী পরিবহনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সক্ষমতা নিয়ে অনেকেরই সংশয় ছিল। তবে সে আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হতে চলেছে।
এবার মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশির হজ পালনের কথা রয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মধ্যে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩০ জন হজযাত্রী নিরাপদে জেদ্দা পৌঁছেছেন। এরমধ্যে এককভাবে বিমান পরিবহন করেছে ৬০ হাজার ৯৯ জন হজযাত্রী।
এ বছর বিমানের সাড়ে ৬৩ হাজার হজযাত্রী পরিবহনের টার্গেট পূরণে আর বাকি আছে মাত্র ৩ হাজার ৬০০ জন।
এদিকে, সৌদি এয়ারলাইন্স এ পর্যন্ত পরিবহন করেছে ৫৫ হাজার ৬৩১ জন হজযাত্রী। আগামী দুইদিনের মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্সের ৮ হাজার ৬৭ জন হজযাত্রী পরিবহনের কথা রয়েছে।
হজযাত্রীর অভাবে বিমানের ফ্লাইট বাতিলের অব্যাহত ধারা থেকে কীভাবে টার্গেট পূরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হলো?-এমন প্রশ্নের জবাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এটি আল্লার অশেষ রহমত ছাড়া কিছুতেই সম্ভব ছিল না। এছাড়া আমাদের পাইলট এবং কেবিন ক্রুদের বিরামহীন পরিশ্রম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
এ বছর জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করছে।
হজ এজেন্সিগুলোর গাফিলতি ও অতি মুনাফার লালসায় একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। গত ২৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরুর পর থেকে ভিসা ও হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত জটিলতায় এ পর্যন্ত প্রায় ২৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
নিয়ম অনুসারে, হজ ফ্লাইটের আগেই সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করে তার রশিদ ও বিমানের টিকিট নিশ্চিত করে হজ অফিস থেকে ডিও লেটার নিতে হয়। এ বছর সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া না করার কারণে অনেক হজযাত্রী ভিসা পেয়েও যেতে পারছেন না। তবে এ সমস্যার সমাধান অনেকটাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হজ অফিসের পরিচালক এম সাইফুল ইসলাম।
আরএম/এমএমজেড/এসআর/এমএস