প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রস্তাবিত ‘শিশু বাজেটে’ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি


প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ০৬ জুন ২০১৫
ফাইল ছবি

প্রতিবন্ধী শিশুরাও যাতে প্রস্তাবিত ‘শিশু বাজেটে’ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে তার দাবি জানানো হয়েছে। একই সাথে প্রতিবন্ধী শিশুদের বিষয়ে সংশোধিত বাজেটে সুস্পষ্ট নির্দেশনারও দাবি জানানো হয়।

শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬ : প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবস্থান’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে এ ছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য দেয়া অনুদানকে কর মুক্ত করা, দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্ত করা, হুইল চেয়ারযুক্ত বাস আমদানি করা এবং শ্রবণ-প্রতিবন্ধীদের জন্য বাংলা ইশারা ভাষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনে বাজেট বরাদ্দে পুনর্বিবেচনার দাবিও জানানো হয়।

প্রতিবন্ধী বিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ডিআরএফ গ্রান্টি কো-অর্ডিনেশন কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মহুয়া পাল, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের সভাপতি নাসিমা বেগম, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস-এর সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুবসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিবন্ধীরা। লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যালবার্ট মোল্লা।

সংবাদ সম্মেলনে সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তকরণে উদ্যোগ গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিবন্ধী নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করুণার দৃষ্টিতে না দেখে দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের ওপরও জোর দেন তারা।

বাজেটে প্রতিবন্ধী-ভাতা ভোগীদের সংখ্যা চার থেকে ছয় লাখ ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির সংখ্যা ৬০ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

সংশোধিত বাজেটে দীর্ঘমেয়াদে ১ কোটি ১৮ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলা হলেও প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রত্যাশা করেন বক্তারা। এ সময় তারা প্রতিবন্ধীদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণকেও স্বাগত জানান।

এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবন্ধীসহ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রতিবন্ধীদের জাতীয় তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করে সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে পরিচয়পত্র প্রদান এবং প্রতিবন্ধীতার ধরণ অনুযায়ী তাদের জন্য বিদ্যমান উন্নয়ন কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস এবং নতুন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। বিদ্যমান কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস ও কী ধরনের নতুন কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা করা হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। সংশোধিত বাজেটে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট প্রস্তাবের দাবি জানান তারা।

মহুয়া পাল জানান, বছরের শুরুতে সরকারসহ বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের নানা দাবি নিয়ে কাজ করা হয়েছে, কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের মূল স্রোতধারায় প্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্ত করলে দেশের অর্থনীতিতে তারা ভূমিকা রাখতে পারবে।

সালমা মাহবুব বলেন, প্রতিবন্ধীদের যাতায়াত সুবিধার্থে যানবাহনে হুইল চেয়ার ব্যবহার নিয়ে নানা সংকটের সম্মুখীন হতে হয়, এ সমস্যা নিরসনে বাস আমদানির ক্ষেত্রে বাসগুলো হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীদের উপযোগী করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়ে সমাজের সবাইকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে নয়, সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

এসএইচএস/আরআই/এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।