সিটি কর্পোরেশন অফিসের সামনে ময়লা ফেলতে বললেন সেতুমন্ত্রী
‘সিটি কর্পোরেশন মহাড়কের ওপর ময়লা ফেলবে কেন? তারা ময়লা নিয়ে কর্পোরেশনের অফিসের সামনে ফেলুক।’ এ কথা বলেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে মহাসড়কে ময়লা-আবর্জনা ফেলে স্তুপ করে রাখার খবর পেয়ে শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিদর্শন করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী। এসময় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী সিটি কর্পোরেশনের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহাসড়কের ওপর ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে যানজটের সৃষ্টির কারণ হলে ৮ লেন কেন! ১২-১৬ লেন করেও কোনো লাভ হবে না। মন্ত্রী মহাসড়কের ওপর সিটি কর্পোরেশনের ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহাসড়কে ময়লা-আবর্জনার ফেলায় বৃষ্টি হলে কাঁদা ও ময়লা পানিতে সয়লাভ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ের সঙ্গে বুঝুক ময়লা কোথায় রাখবে?
এ মহাসড়ক দিয়ে বিদেশিরা যাতায়াত করে থাকেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের জায়গায় ময়লা আবর্জনা না ফেলে সিটি কর্পোরেশন এলাকার মানুষ মহাড়কের ওপর ময়লা ফেলবে কেন? তারা ময়লা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সামনে নিয়ে ফেলুক।
মন্ত্রী বলেন, দেড় মাসের মধ্যে মহাসড়কের পাশ থেকে অবৈধ বিল বোর্ড, কাঁচাবাজার, অবৈধ স্থাপনা সরানো না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক, কমার্শিয়াল বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল যাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমি দেখতে পেয়েছি, ১৬ ডিসেম্বর ও ১৫ আগস্টের অনেক ফেস্টুন ব্যানার এখনো মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ১৫ আগস্টের অনেক ফেস্টুন ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি রয়েছে যা ছিঁড়ে গেছে। এতে করে বঙ্গবন্ধুকে আরো অসম্মানিত করা হচ্ছে।
ঈদের আগেই নিজ নিজ দায়িত্বে ফেস্টুন ব্যানার রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যদি ঈদের আগেই এগুলো সরিয়ে না নেয়া হয় তবে ঈদের পরে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে মহাসড়কটি ১৩৫ কিলোমিটার চার লেনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, আমি যতোদিন মন্ত্রী আছি এডিপি ৯৯ ভাগ থেকে ১০০ ভাগ বাস্তাবায়ন হয়েছে। প্রয়োজনে আমি আরো টাকা নেবো। এডিপি যারা বাস্তাবায়ন করতে পারে না তাদের টাকা ফেরত যায়। কিন্তু আমার এডিপির টাকা ফেরত যায় না। বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য আট হাজার ৯ শত কোটি টাকা এবং সড়ক-মহাসড়কের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। দেশের সম্পদের তুলনায় আকাশ কুসুম কল্পনা করতে পারি না। যতোটুকু বরাদ্দ পেয়েছি আমি খুশি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আফতাব হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী রৌশনী-এ-ফাতেমা, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) ফোরকান সিকদার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকিরুল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল মাহমুদ, ঠিকাদার জোয়াদুল ইসলাম জুয়েল চেয়ারম্যান প্রমুখ।
হোসেন চিশতী সিপলু/এসএইচএস/বিএ/পিআর